মানছুর রহমান জাহিদ
প্রতিপক্ষকে শায়েস্থা করতে পাইকগাছায় যাতায়াতের পথের উপর পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আদালতে পথের দাবীতে মামলা হওয়ায় ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এনিয়ে পক্ষদের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী আদালতে করা মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার রামনগর গ্রামের শেখ মশিউর রহমান ও আক্তার হোসেন শেখ একই বংশের লোক। সেখানে তাদের চলাচলের জন্য ৬ ফুট চওড়া ও ২০০ফুট দৈর্ঘের ১টি রাস্তা তৈরী করে। সেই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ১০ টি পরিবারসহ এলাকার লোকেরা চলাচল করে আসছেন। এর মধ্যেই কিছুদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছে। এজন্য আক্তার হোসেনরা তাদের শরীকের কিছু অংশ জমি নিলুফা বেগমদের কাছে বিক্রি করেন। জমি কিনেই প্রতিপক্ষ নিলুফা বেগম রাস্তার উপরেই পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ফলে ১০ টি পরিবারের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হয়ে পড়েছে অবরুদ্ধ। পথ উম্মুক্ত রাখার দাবীতে শেখ মশিয়ার রহমান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৭ ধারায় গত ২৭মে মামলা করেছেন।
বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার পাশাপাশি তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন প্রদানের জন্য পাইকগাছা থানার ওসিকে আদেশ প্রদান করেন।
ওসি ওবাইদুর রহমান বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এএসআই ওয়াজেদ আলীকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ০৪ জুন সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার কথা জানিয়ে দেন। তিনি আরও জানান, নিলুফারা আদালতের নির্দেশনা পেয়েও আদেশ অমান্য করে কাছ অব্যাহত রাখে।
এ ব্যাপারে নিলুফা বেগম জানান, ভবন নির্মানের কাজ শুরু হলে তারা কোন বাঁধা না দিয়ে এখন মামলা করেছে। পূর্ব পাশে আমাদের জমি আছে সেখান দিয়ে পথ দিতে হবে অন্যথায় দেওয়াল ভেঙ্গে পথ দেয়া ছাড়া উপায় নেই।
মশিয়ার রহমান বলেন, আমাদের ১০টি পরিবারসহ লোকজনের চলাচলের জন্য শরীকভুক্ত জমিতে পাকারাস্তা করে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করছি। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমাদেরকে শায়েস্তা করতে তারা পথের উপর পাকা ঘর নির্মান করে অবরুদ্ধ রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
এছাড়াও স্থানীয় অনেকেই বলেন, উভয়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে।