মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
ড.ইউনুস সরকারের পরিচালিত আগামী নির্বাচনে আশি শতাংশ মানুষই ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় বসে আছে । গত ১৭ বছর ধরে যারা একটি ভোটের অপেক্ষায় নির্যাতন নিপিড়ন উপেক্ষা করে প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন তাদের একটি ভোটই হবে জুলাই আন্দোলনের স্বার্থকতা।
গতকাল শনিবার ৫/৭/২৫ ইং বিকালে মনিরামপুরে অবস্থিত জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, মনিরামপুর উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান কালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মুফতি মোঃ ওয়াক্কাস চলে গেছেন তার ছেলে রশিদ বিন ওয়াক্কাস কে রেখে গেছেন আপনাদের মনিরামপুর বাসীর রাহাবাহ করে। বিগত ১৭টি বছর ধরে আলেম ওলামাদের কণ্ঠরোধ করে রাখা হয়েছিল যা জুলাই আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ফিরে এসেছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় গেলে এই জুলাই আন্দোলনে আহতদের সকল চিকিৎসার দায়িত্ব নিবে। কর্র্মী সম্মেলনে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে হাফেজ রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, “আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি। আজ কেউ কেউ আগস্টের ৩/৪ তারিখ আন্দোলন করে সংসদে যেতে চায়। তারা পিআর (পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। আমাদের স্পষ্ট অবস্থান বাংলাদেশে কোনো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হবে না। এ পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য বা স্থিতিশীলতা নয়, বরং বিভাজন ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।”
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তের সহ-সভাপতি মুফতি রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “মুফতি ওয়াক্কাস রহঃ মনিরামপুরে যে উন্নয়ন রেখা তৈরি করে গেছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে তার সুযোগ্য উত্তরসূরি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে বিজয়ী করতে হবে। তিনিই মনিরামপুরবাসীর আশার প্রতীক।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান। তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের শহীদ ছাত্র, শাপলা চত্বরে শহীদ হুসাইনদের আমরা ভুলিনি। তারা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়। মুফতি ওয়াক্কাস রহঃ ছিলেন এক নির্ভীক ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতিক। কোনো সরকার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।”
সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী জাকির হোসেন খান তার বক্তব্যে পিআর পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিদেশি শক্তি বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। প্রতিবেশী দেশ নেপালে গত ৯ বছরে ৮ বার সরকার পরিবর্তনের নজির রয়েছে। বাংলাদেশে এ পদ্ধতি চালু হলে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।”
সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় হাফেজ রশীদ বিন ওয়াক্কাস-এর সভাপতিত্বে এবং মনিরামপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কামরুজ্জামান কাসেমীর পরিচালনায়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহ-সভাপতি মাওলানা আহসান হাবীব, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক হাজী ইমদাদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মাহমুদ, যুব জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতী হুসাইন আহমদ বিন ওয়াক্কাস, মনিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলামসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।