খুলনা প্রতিনিধি
পুলিশি তদন্ত শুধু অপরাধের সূত্র উদঘাটন নয়, এটি বিচারপ্রক্রিয়ার মেরুদণ্ড। আর সেই মেরুদণ্ড যেন হয় সঠিক, স্বচ্ছ ও মানবিক—এ লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো একটি বিশেষ কর্মশালা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হলো এ কর্মশালা।
“তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব, মনোযোগ ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধি” শীর্ষক এই দিনব্যাপী কর্মশালায় কেএমপির ৮টি থানার ও গোয়েন্দা বিভাগের ২৮ জন কর্মকর্তার অংশগ্রহণ প্রশংসনীয় মাত্রা ছুঁয়েছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কেএমপির পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, পুলিশিং সেবার মূল ভিত্তি হলো মানুষের আস্থা। তদন্তকাজে পেশাদারিত্ব, মানবিকতা ও নিরপেক্ষতা ছাড়া সেই আস্থা অর্জন সম্ভব নয়। তদন্ত যেন হয় হয়রানিমুক্ত ও দ্রুত; বিচার যেন হয় সঠিক ও ন্যায়ের ভিত্তিতে—সেদিকে নজর রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক তদন্তপদ্ধতি রপ্ত করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির সদ্ব্যবহার, ধৈর্য ও নৈতিকতা—এই তিন গুণ তদন্ত কর্মকর্তার অপরিহার্য সঙ্গী।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত এম. এম. শাকিলুজ্জামান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ আবু তারেক, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিপিএম-সেবা এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের প্রশিক্ষণমূলক আয়োজন তাদের পেশাগত মানোন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করে। তারা ভবিষ্যতে আরও দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও জনগণবান্ধব তদন্তের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই কর্মশালা প্রমাণ করে, আধুনিক পুলিশিং মানে শুধু অস্ত্রধারী বাহিনী নয়—এটি হচ্ছে মানুষের পাশে থেকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার এক মানবিক অভিযাত্রা।