খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম গতকাল শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টায় শেষ হওয়ার পর দুপুর আড়াইটা থেকে সদর দপ্তরের সামনের সড়কে ‘ব্লকেড’ কর্মস‚চি শুরু হয়েছে। কর্মস‚চিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ কর্মকর্তা সুকান্তকে ধরে মারধর করে ছাত্র-জনতা পরিচয়দানকারী কিছু লোক। সেখান থেকে খানজাহান আলী থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। ওই রাতে থানা থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বুধ ও বৃহস্পতিবার কেএমপির সদর দপ্তর ঘেরাও করে পুলিশ কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাঁরা পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবি করেন। এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে রাত পৌনে ৯টায় বিক্ষোভকারীরা কর্মস‚চি স্থগিত রেখে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। কিন্তু পুলিশ কমিশনারকে অপসারণ না করায় আজ দুপুর শনিবার আড়াইটা থেকে ‘ব্লকেড’ কর্মস‚চি শুরু করেছেন।এদিকে এসআই সুকান্তকে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।গতকাল খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলছে। পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার ও উপপুলিশ কমশিনার এম এম শাকিলুজ্জামানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন। কেএমপি সদর দপ্তরের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাঁরা রাস্তায় টায়ার জ্বালান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা মহানগরে আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র রুমি রহমান বলেন, ‘খুলনা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার খুলনায় আসার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসরদের তিনি গ্রেপ্তার করছেন না। আমরা ব্যর্থ পুলিশ কমিশনারকে দেখতে চাই না। আমরা কেএমপি কমিশনার হিসেবে একজন দেশপ্রেমিক যোগ্য লোককে চাই।’