মানছুর রহমান জাহিদ
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পরেই প্রার্থীদের প্রচার – প্রচারনা বৃদ্ধি পেয়ছে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী ২৯মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু (মটর সাইকেল), যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস ( চিংড়ী মাছ), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি আ্যাড. আবুল কালাম আজাদ ( দোয়াতকলম), আওয়ালীগ নেতা কৃষ্ণ পদ মন্ডল (আনারস), মোঃআছাদুল বিশ্বাস ইসলাম (হেলিকপ্টার), শিবলী নোমানী রানা (কাপ পিরিচ)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন শিহাব উদ্দিন ফিরোজ বুলু-(তালাচাবি), প্রভাষক বজলুর রহমান- (টিয়া পাখি), এস এম হাবিবুর রহমান (চশমা), সুকুমার চন্দ্র ঢালী (উড়োজাহাজ), সিরাজুল ইসলাম (মাইক), শেখ ফরহাদ হোসেন ফয়সাল (টিউবওয়েল), মিলন মন্ডল (আইসক্রিম), আব্দুল ওহাব বাবলু (পালকি) ও বাবুল শরীফ (বই)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন
লিপিকা ঢালী (পদ্মফুল), অনিতা রাণী মন্ডল (ফুটবল), মিসেস ময়না (হাঁস),ও ইয়াসমিন বুশরা (কলস)।
প্রতিক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা তাদের নিজেদের জয়ের লক্ষ্যে কাক ডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে চলছেন উপজেলার সর্বত্র। চালাচ্ছেন ব্যাপকভাবে বিরামহীন লিফলেট বিতরণসহ গণসংযোগ। পৌঁছে যাচ্ছেন প্রত্যকটি ভোটারদের কাছে এবং চাচ্ছেন দোয়া ও ভোট। দিচ্ছেন অনেক প্রতিশ্রুতি। উপজেলার অলিতে গলিতে, হাট-বাজার, গ্রাম-গঞ্জে, চায়ের দোকানে দোকানে, রাস্তার দুপাশেসহ বিভিন্ন স্থানে ঝোলাচ্ছেন পোস্টার প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা। আর সন্ধ্যা হতেই গভীর রাত পর্যন্ত চলছে চায়ের দোকানে ভোটের আলোচনা সমালোচনা। এক কথায় উপজেলা জুড়ে এখন ভোটের আমেজ বইছে।
পাইকগাছা উপজেলার মোট ভোট কেন্দ্র ৯৭ টি এবং মোট ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৮জন।
এ দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামরুল হাসান টিপু, যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, সাবেক ছাত্রনেতা এ্যাড: আবুল কালাম আজাদ ও কৃষ্ণ পদ মন্ডল জয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।
শেখ কামরুল হাসান টিপু পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র, জেলা পরিষদ সদস্য, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তার রয়েছে একটা শক্ত অবস্থান। জয়ের ব্যাপারে তিনি পুরোপুরি আশাবাদী।
আনন্দ মোহন বিশ্বাস উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক, পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ ভোট তার বাইরে যাবেনা।এক্ষেত্রে সেটাকে রিজার্ভ ভোট হিসেবে মনে করছেন অনেকেই। জয়ের ব্যাপারে তিনিও শতভাগ আশাবাদী।
সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বয়সে তরুণ হলেও তিনি যুব সমাজের একটা বিশাল অংশ তার পক্ষে নিতে সক্ষম হয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে একটা বিষয় ব্যাপক ভাবে প্রচার হচ্ছে সনাতন ধর্মের লোকদের উপস্থিতি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ভোটকেন্দ্রে। সেক্ষেত্রে সনাতন ধর্মের তিন প্রার্থীই নির্বাচিত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা বলে মনে করছেন অনেকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন ও থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমান বলেন ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ভোটে যারা বিজয়ী হবেন তাদেরকেই বিজয়ী ঘোষনা করা হবে।
প্রেরক-
মানছুর রহমান জাহিদ
স্টাফ রিপোর্টার
মোবাইল:০১৯২৬-১৩৫৮২৮
তারিখ:২১-০৫-২৪ইং।