খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার উপকুলিয় উপজেলা দাকোপে সংস্কারের ১২ ঘন্টার মধ্যে ফের ভেঙে গেল ওয়াপদা বেড়ীবাঁধ। ভেসে গেছে ফসলের ক্ষেত মাছের ঘের। ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ১০ কোটি টাকা। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের লক্ষিখোলা পিচের মাথা এলাকার ভেঙে যাওয়া ওয়াপদা বেড়ীবাঁধ শনিবার বেলা ১২ টার দিকে সংস্কার করা হয়। কিন্তু সংস্কারের ১২ ঘন্টার ব্যবধানে ওই দিন রাতের জোয়ারে ফের ভেঙে গিয়ে পানখালী ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ কোন মতে বাঁধ আটকানোর পর টেকসই করার জন্য সংস্কার কাজ অব্যহত না রাখাই ফের ভেঙে গেছে বাঁধ। এ দিকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শনিবার রাত এবং রোববার দুপুরের জোয়ারে পানি ঢুকে ভেসে গেছে পানখালী ইউনিয়নের লক্ষিখোলা, কামারাবাদ, মৌখালী, জিরবুনিয়া, কাটাবুনিয়া, মোড়ারডাঙ্গা, খাটাইলসহ অন্তত ৭ টি গ্রাম। ৩ হাজার বিঘা জমির আমন ধানের ফসল, মাছের ঘের, পুকুর পানির নীচে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘর বাড়ী ও অভ্যান্তরীন রাস্তাঘাট। সব মিলে ক্ষতির পরিমান অন্তত ১০ কোটি টাকা দাবী করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহমেদ বলেন, বাঁধ আটকানোর কাজে ব্যবহ্নত টিউবের নীচের মাটি সরে যাওয়ায় আবারো বাঁধটি ভেঙে গেছে। তিনি বলেন ভাঙনের পরিধি বেড়ে বর্তমানে দেড়শ’ ফুট ছাড়িয়েছে। পানখালী ইউনিয়নের প্রায় সমগ্র এলাকা ভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বাঁধ আটকানোর জন্য চেষ্টা অব্যহত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের নিকট ভাঙনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আমিসহ আমাদের জনবল ভাঙন কবলিত এলাকায় থেকে আটকানোর চেষ্টা অব্যহত রেখেছি। টিউব ডেবে যাওয়ায় নতুন করে আবারো প্লাবিত হয়েছে বলে দাবী করে তিনি বলেন, আশা করছি রোববার রাতের মধ্যে আটকানো সম্ভব হবে।