নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্যান্সারে আক্রান্ত বোন সায়েরা খাতুনকে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন আর এক বোন শিরিনা। সাথে পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। পথিমধ্যে ট্রাকের ধাক্কায় ওলট-পালট হয়ে গেছে তাদের চিকিৎসা যাত্রা। সায়েরার পরিবর্তে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় নেয়া হয়েছে শিরিনাকে। অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। গত (শনিবার) ভোরে যশোর-নড়াইল সড়কের ছাতিয়ানতলার অদূরে তালতলা নামক স্থানে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আহতরা হলেন, সায়েরা খাতুন (৫৫), স্বামী আব্দুল বারিক (৬০), তার দু’কন্যা রিনা খাতুন (৩৫), নিশা খাতুন (২২), নাতী হোসাইন (৭), বোন শিরিনা খাতুন (৫৩), ভাইপো ফিরোজ হোসেন (৪৭) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক মুকুল হোসেন (৪৬)। আহতদের মধ্যে রোগী সায়েরা খাতুনকে শহরের কুইন্স হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। রোগীর বোন শিরিনা খাতুনকে নেয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আহত স্বামীসহ ৫ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের ভাইপো মিরাজ হোসেন জানিয়েছেন, তার চাচি সায়েরা খাতুন মরণব্যাধি ক্যান্সারের রোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক সায়েরা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সে মোতাবেক গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সায়েরা খাতুনকে চালক মুকুল হোসেনের অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।