নিজস্ব প্রতিবেদক
ঝিনাইদহেন কালীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং কাস্টভাঙা ইউনিয়ন এলাকার ঘোপপাড়া শমসের নগরে শেখ
মুজিব মেমোরিয়াল মহাবিদ্যালয়ের পাশে আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে চলছে প্রাচীর নির্মানের কাজ,আদালতের আদেশ পালনের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন। জানাগেছে,কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মামলার বাদি মোছাঃআইভী ইসলাম (৪৬) স্বামী নজরুল ইসলাম,গ্রাম ঘোপপাড়া,ঝিনাইদহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে গত (১৪ই-মে)বুধবারে তার জমি অন্যরা জোর পূর্বক দখল করছে বলে মামলা দায়ের করেন।লিখিত মামলা সূত্রে (বাদি) ১ম পক্ষ নালিশের বিবরণে বলেন,আমি একজন নিরীহ শান্তি প্রিয় সহজ-সরল, আইন মান্যকারী ও ধর্মভিরু মহিলা। ২য়( বিবাদী) পক্ষগণ ঘোপপাড়া গ্রামের মৃত সমশের আলীর তিন পুত্র মোঃ শফিকুল সমশের,রাশেদ সমশের তরিকুল সমশের এরা দুর্দান্ত কলহপ্রিয়,ভন্ড অসৎ প্রকৃতির আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল ও ভূমি দস্যু প্রকৃতির। তাহারা পারে না এমন কোন কাজ নাই। প্রকৃত বৃত্তান্ত এইযে ১ম পক্ষ ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ গোরীনাথপর মৌজার এস,এ ১৫৬ ,আর, এস ৭৫৯ খতিয়ান আর,এস দাগ নং ১/৮৭৩ দাগের ৮২ শতক জমির মধ্যে ১৫ শতক জমি১৯৫৫ নং দলিলে সুধার কুমার অধিকারের নিকট হইতে এবং ৪১২৮ নং দলিলে ৪১শতক জমি ক্রয় করি প্রায় ১০ বছর আগে। জমি ক্রয়ের পর বাদিপক্ষ ঘরবাড়ি,গাছপালা নির্মাণ করিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করিয়া আসিতেছি। মামলার ১নং আসামি ২য় পক্ষের মোঃ শফিকুল সমশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল মহাবিদ্যালয়ের পিন্সিপাল হিসাবে কর্মরত আছে। তিনি গত (৪ই-মে)২০২৫ ইংরেজি তারিখ রবিবার সকাল ৯ টার ও সময়ে ১,২,ও ৩ নং(২য়) পক্ষ সহ অঙ্গাতনামা ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে( ১ম) আমার দখলীয় জমিতে শেখ মুজিব মেমোরিয়াল মহাবিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণের জন্য জোর করে দখলীয় জমিতে প্রাচীর নির্মানের হুমকি প্রদান করে এবং নালিশী জমি হইতে বেদখল করার জন্য বিবাদীরা গাছপালা কেটে দেয় এবং ঘরবাড়ি ভাঙ্গিয়া দেওয়ার হুমকি দেয়। যারফলে শান্তি ভঙ্গের আশংকা দেখা দিতেছে।এমন অভিযোগের ভিক্তিতে (১৪ই-মে) ২৫ তারিখ বুধবারে কালীগঞ্জ পিটিশন নং-৩৯০/২০২৫ সন ২০ ধারাঃফৌঃকাঃ বিঃ ১৪৪,মোছাঃ আইভী ইসলাম বনাম শফিকুল সমশের দিং দের উদ্দেশ্য ১৪৪ ধারার জারী আদেশ প্রদান করেন, ঝিনাইদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.বি.এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ও আদালতের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারীর স্বাক্ষরিত নাজমুন নাহার এআদেশ প্রদান করেছিল। উক্ত আদেশ স্মারক নং ১১০৮(২) অনুলিপি সহ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালত থেকে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ,কাস্টভাঙা ইউনিয়ন সহকারী কর্মকর্তা প্রেরণ করে।গত বৃহস্পতিবার (১৫ই-মে) কালীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম আদালতের ১৪৪ ধারা পালন আইনের দায়িত্ব দেন বারবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই জাকারিয়া মাসুদ কে। পরে এসআই জাকারিয়া মাসুদ শেখ মুজিব মেমোরিয়াল মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গেণে গিয়ে বাদি ও বিবাদির উপস্থিত করে আদেশের ব্যাপারে নির্দেশনা দেন। এছাড়া প্রাচীর নির্মাণ না করার জন্য বলেন এবং যতদিন পর্যন্ত পরবর্তী আদেশ না আসে সে পর্যন্ত উভয় পক্ষকে ১৪৪ ধারা মেনে চলবার নির্দেশনা দেই।
অপরদিকে আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে আদেশের কোন তোয়াক্কা না করে প্রভাব খাটিয়ে প্রাচীর নির্মানের কাজ চলমান সহ প্রভাব বিস্তার চালিয়ে যাচ্ছে বিবাদিরা।এব্যাপার কালীগঞ্জ থানার দায়িত্বে বারবাজার পুলিশ ফাঁড়ি আইসি জাকারিয়া মাসুদ সাথে মোবাইলে কথা বললে,তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি আজ শুক্রবার গিয়েছিলাম, দেখলাম কাজ চলছে,আসলে কাজ বন্ধ করার বিষয়ে তেমন কিছু লেখা নেই, বাদীপক্ষকে আপনি একটু বলেন কাজে বাধা দিতে,তারপরে আমি দেখতেছি। এব্যাপারে বাদি পক্ষকে জানালে তাঁরা বলেন,আমরা আইনের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা রেখে চলতে চাই।আমরা কেনো কাজে বাঁধা দিতে যাবো,যেখানে মহামান্য আদালত ১৪৪ ধারা জারী করেছে।সেখানে গেলে ১৪৪ ধারা অমান্য করা হবে।কিন্তু বিবাদিরা আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে প্রাচীর নির্মান করছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল হক জানান,বিষয়টি দায়িত্বে আছেন এসআই জাকারিয়া মাসুদ। তারপরও আমি খোঁজ নিচ্ছি।