নিজস্ব প্রতিবেদক
খাদ্য মন্ত্রণালয়, সরবরাহ-১ শাখা, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকার ১৪/১০/২০২৪ খ্রি: তারিখের ১০,০০,০০০০,০৪৬,৩৮,০০১,১০-২০৭ নং স্মারকের পরিপত্র আদেশের প্রেক্ষিতে সারাদেশের ন্যায় যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বল্প ম‚ল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং ‘জাতীয় খাদ্য নীতি-২০০৬’ অনুসারে দেশের সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা এবং দারিদ্র বিমোচন করে জিরো হাঙ্গার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রত্যয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মস‚চির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাকে ভর্তুকি ম‚ল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কার্যক্রমের পরিধি অধিকতর স্বচ্ছ, গতিশীল ও জনহিতকর করার লক্ষ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মস‚চি নীতিমালা/২০১৭ সারাদেশে ন্যায় যশোরের মনিরামপুরে আওয়ামী সরকারের অনুসারী ও সমর্থিক ডিলারদের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়। খাদ্যবান্ধব কর্মস‚চি নীতিমালা/২০২৪ জারি করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সাহা। খাদ্যবান্ধব কর্মস‚চি নীতিমালা/২০২৪ অনুসারে খাদ্যবান্ধব কর্যক্রম পরিচালনা ও ডিলার নিয়োগের জন্য নির্দশনা দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।মনিরামপুর উপজেলায় মোট ৪৬(ছেচল্লিশ) জন ডিলার নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে বলে পরিপত্রে জানা গেছে। মণিরামপুর উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে ডিলারগণ সম্প্রতি আত্মগোপনে থাকায় ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীতে ব্যাঘাত ঘটায় তাদের ডিলারশিপ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রশাসন। তারই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর সভাপতি নিশাত তামান্না ০২/০২/২০২৫ ইং তারিখে স্থানীয় একটি পত্রিকায় ১৪/০২/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ আবেদন আহবানের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সেই অনুসারে নির্ধারিত সময়ে মোট ১৯৫ (একশত পঁচানব্বই)টি আবেদনপত্র করেন বলে তথ্য সূত্রে জানা গেছে।উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটি প্রাপ্ত আবেদনপত্রগুলি যাচাই বাছাই প‚র্বক ১৩টি আবেদন বাতিল করেন খাদ্যবান্ধব কমিটি। কমিটির সভাপতি নিশাত তামান্না এবং সদস্যরা সম্প্রতি উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে ডিলার নির্বাচনে সর্বসম্মতি পোষণ করেন। সেখানে প্রাপ্ত আবেদনপত্রগুলি অধিকতর যাচাই বাছাই করে তথা কথিত বিতর্কীত ব্যক্তিগণকে বাদ দিয়ে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিয়নে নির্ধারিত ডিলার সংখ্যার পরিমান নির্বাচন করেন বলে জানা যায় । তারই প্রেক্ষিতে নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে ডিলার নিয়োগ নির্বাচন করা হয় এবং খাদ্যবান্ধব কর্মস‚চী নীতিমালা/২০১৭ আলোকে বিদ্যমান বিতর্কিত ডিলারগণকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করা হয়। নিয়োগকৃত ডিলারগণ নীতিমালা অনুসারে ডিলারের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এদিকে মনিরামপুর উপজেলার ৪৬(ছেচল্লিশ) জন ডিলার নিয়োগ দেওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নিয়োগ কর্তা দুটি রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করায় অভিযোগ উঠেছে। বাদ পড়া আবেদনকারীরা অভিযোগ করেন যে, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি নিশাত তামান্না ও দুটি রাজনৈতিক দলের শীর্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে উক্ত ৪৬(ছেচল্লিশ) জন ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির কর্তৃক তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করে খাদ্যশস্য বিক্রির প‚র্বে এবং বিক্রির পরে মজুদ যাচাই করণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন কমিটি। সরকারের নির্ধারিত ম‚ল্যে নতুন নিয়োগকৃত ডিলারদের মাধ্যমে সরকারি ছুটিসহ সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার বাদে সকাল ০৯টা হতে বিকাল ০৫ টা পর্যন্ত হতদরিদ্রদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে খাদ্যশস্য বিক্রয়ের লক্ষ্যে নিয়োগকৃত ডিলারগণকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি নিশাত তামান্না অভিযোগের বিষয় বলেন, যেহেতু আমি নিয়োগ কর্তা কোন রাজনৈতিক সংগঠন আর্থিক লেনদেন করলে তারদায়ভার তাদের আমার দপ্তর ও আমি কেউই আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত নাই, যেহেতু আমি নিয়োগ কর্তা আভিযোগের তীর আমার দিকে আসবেই।