1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman
শিরোনামঃ
নড়াইলে মসজিদের ইমামকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন কালিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার তিন ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে শ্যামনগরে সংবাদ সম্মেলন সাতক্ষীরা জেলায় কোন অপকর্ম চলবে না : মোস্তাক আহমেদ সাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধন বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, কর্মী নিহত যশোরে জামায়াতের শোকরানা সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল খুবিসাসের দায়িত্ব হস্তান্তর ও প্রথম বার্ষিক ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন কুদ্দুস ও মিনু বাহিনীর সন্ত্রাসী তাণ্ডবে সহায় সম্বল হারিয়ে মানুষ নিঃস্ব গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

কুদ্দুস ও মিনু বাহিনীর সন্ত্রাসী তাণ্ডবে সহায় সম্বল হারিয়ে মানুষ নিঃস্ব

  • প্রকাশের সময় রবিবার, ১১ মে, ২০২৫
  • ৬২ বার সংবাদটি পাঠিত

🔴 আ.লীগের দালাল বিএনপি নেতা কুদ্দুস
🔴 দখল, লুটপাট, চাঁদাবাজি তাদের পেশা
🔴 অত্যাচার, নিপীড়ন যেন নিত্যকার ব্যাপার
🔴 চক্রটির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই হুমকি, মারপিট
🔴 ভয়াবহ তাণ্ডব থেকে বাঁচার আকুতি
🔴 সহায় সম্বল হারিয়ে মানুষ এখন নিঃস্ব
🔴 বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে কুদ্দুস, মিনু
🔴 ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী, সচেতন মহল সহ সুশীল সমাজ

ইব্রাহিম খলিল,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা আশাশুনির ৩ টি ইউনিয়নে জমি দখল, লুটপাট ও চাঁদাবাজিতে অন্যতম অবস্থানে রুহুল কুদ্দুস ও মিনু বাহিনী। আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় তেলবাজি, দালালি করতো বিএনপি নেতা বনে যাওয়া রুহুল কুদ্দুস। চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ও তার আপন সহোদর আমিনুর রহমান মিনুর সন্ত্রাসী ক্ষিপ্রতায় মানুষের জীবন অতিষ্ট।অভিযোগ আছে, সন্ত্রাসী চক্রটির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই বেধড়ক মারপিট, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এমনকি তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে থাকে। রুহুল কুদ্দুস ও আমিনুর রহমান মিনু বাহিনীর রয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি সক্রিয় সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট। এই সন্ত্রাসী সিণ্ডিকেট’র মুল হোতা দুইজন, এদের মধ্যে একজন আশাশুনি ০৯ নং আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস এবং অপর ব্যক্তি রুহুল কুদ্দুস এর আপন সহোদর কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-যোগাযোগ সম্পাদক আমিনুর রহমান মিনু। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পটপরিবর্তনের পর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে রুহুল কুদ্দুস আমিনুর রহমান মিনু, মমিনুর রহমান মন্টু, খোরশেদ আলম, মফিজুল ইসলাম, শামীম মোস্তফা শুভ সহ তাদের সঙ্গপাঙ্গদের সন্ত্রাসী হিংস্রতায় মানুষ তাদের সহায় সম্বল হারিয়ে এখন নিঃস্ব। আশাশুনি উপজেলার ০৯ নং আনুলিয়া ইউনিয়ন এর মধ্যম একসরা গ্রামের প্রয়াত আবু দাউদ সানার ছেলে সাদ্দাম সানা বলেন, ৫ আগষ্টের পরের দিন ৬ আগষ্ট রাতে আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ও তার বাহিনী আমার মৎস্য ঘেরে সন্ত্রাসী তান্ডব চালায়। ভুক্তভোগী সাদ্দাম সানা বলেন, রুহুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান এর ঘেরের পাশে আমার মৎস্য ঘের। রুহুল কুদ্দুস দাড়িয়ে থেকে তার পোষ্য বাহিনী দিয়ে আমার ঘেরের ভেড়ি কেটে দিয়ে দখলে নেয়। সাদ্দাম সানা জানান, আমি রুহুল কুদ্দুস ও তার ভাই আমিনুর রহমান মিনুকে অনেক অনুনয়-বিনয় করেও আমার মৎস্য ঘের ফেরত পায়নি। আমার রেকর্ডীয় ৫ বিঘা ১০ কাঠা জমি অবৈধভাবে জোরপূর্বক ভোগ দখল করছে রহুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাদ্দাম সানা প্রশাসনের সহযোগিতা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আশাশুনি উপজেলার ০৯ নং আনুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নাংলা গ্রামের মোঃ আব্দুল সানা এর ছেলে আকবর সানা মাঝি জানান, ০৫ আগষ্টের পর রুহুল কুদ্দুস ও মিনু বাহিনীর ইন্ধনে তাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালায়। এসময় দোকানের তালা ভেঙে আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকার শ্যালো মেশিন সহ মেশিনের পার্টসের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। একই সময় আমার ভাই আক্তার সানার দোকানে ভাংচুর চালিয়ে আনুমানিক আড়াই লক্ষ টাকার মুদি মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আশাশুনি, আনুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ একসরা গ্রামের মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্যা’র ছেলে রোকনুজ্জামান মোল্যা বলেন, আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস এর নেতৃত্বে, মান্নান মোল্যা, সুমন মোল্যা, খোরশেদ শিকারী সহ তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী জোরপূর্বক আমার মৎস্য ঘেরে লুটপাট চালিয়ে আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকার মাছ ধরে নেয়। ভুক্তভোগী রোকনুজ্জামান মোল্যা জানান, আশাশুনি থানাধীন একসরা মৌজায় জে, এল,নং- ১৪১, সাবেক ৫১ নং, হাল ৬৩, এস,এ দাগ ১৫৫৩/ ১৫৯৫ নং ও আমার ডি,সি,আর ২২/৮৫ আর,এস ২৮৪১,২৮৪২, ২৮৪৩, ২৮৪৪ ও ২৮৪৫ দাগে আমার ডিসিআর কৃত ০.৮৮ একর এবং রেকর্ডীয় ১.৪২ একর সর্বমোট ২.৩০ একর জমির একটি মৎস্য ঘের ছিল। যাহা আমি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করার একপর্যায় গত ০৬/০২/২৫ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৯ টার সময় রুহুল কুদ্দুস ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা আমার মৎস্য ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক মাছ লুটপাট করার একপর্যায় আমার জমি দখলে নেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোকনুজ্জামান মোল্যা গত ২০/০৪/২৫ তারিখ ঢাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার, খুলনা বিভাগের ডিআইজি, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প সহ সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে ০৫ জানুয়ারি ২০২২ সালে আশাশুনি ০৯ নং আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন রুহুল কুদ্দুস। তৎকালীন সময় রুহুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে জনসম্মুখে একটি ভাষন প্রদান করেন। সেই ভাষনের একটি ভিডিওতে রুহুল কুদ্দুসকে বলতে শোনা যায়, এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর নৌকা, এই নৌকা শেখ হাসিনার নৌকা, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক নৌকা। এর আগে রুহুল কুদ্দুস ও আমিনুর রহমান মিনু বাহিনীর ভয়াবহ সন্ত্রাসী তাণ্ডবের শিকার হন ভুক্তভোগী আনুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রফি মেম্বার সহ একাধিক ব্যক্তি। ৫ আগষ্টের পর রফি মেম্বারের দুইটি মৎস্য ঘের লুটপাট ও দখল করার ঘটনায় বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া সহ একাধিক অনলাইন পোর্টালে কুদ্দুস ও মিনু বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উন্মোচন করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস ও মিনু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা রফি মেম্বারকে বেধড়ক মারপিট করেছে বলে একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, কুদ্দুস ও মিনু বাহিনীর অত্যাচার এবং নিপীড়নের শিকার হওয়া একাধিক ভুক্তভোগীকে মুখ না খোলার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি সহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে চক্রটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, রহুল কুদ্দুস একজন সুবিধাবাদী ব্যক্তি। নিজ স্বার্থ ও চরিতার্থ হাসিলের জন্য সে যা খুশি তাই করে থাকে। ৫ আগষ্টের আগে রুহুল কুদ্দুস আ.লীগ এর দালালি করতো আর এখন সে বিএনপির বড় নেতা দাবি করেন। তারা আরও জানান, রুহুল কুদ্দুস ও মিনু বাহিনীর সাঙ্গোপাঙ্গ কর্তৃক জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল, লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এলাকার নিরীহ মানুষের প্রতি অন্যায়, অবিচার তাদের এখন নিত্যকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই নেতারা বলেন, কুদ্দুস ও মিনু বাহিনীর ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে মানুষ বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। অপরদিকে রুহুল কুদ্দুস ও মিনু বাহিনী তাদের অপরাধ, অপকর্ম ঢাকতে নানা ফন্দি ফিকির করছেন। ইতিমধ্যে চক্রটি কৌশলে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় ফাঁসাবেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে বলে দাবি উঠেছে। এ বিষয় অভিযুক্ত আশাশুনি উপজেলার ০৯ আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ বিষয় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-যোগাযোগ সম্পাদক আমিনুর রহমান মিনু মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, এসব ঘটনার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় ফাঁসাবেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি উঠেছে এটা সত্য কিনা এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিলে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হন। এদিকে কুদ্দুস ও মিনু বাহিনীর সন্ত্রাসী তাণ্ডবে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী, সচেতন মহল সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION