মেহেদী হাসান,খুলনা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এই সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট হলো একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচনমুখী জরুরি সংস্কার করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, তবে তা চূড়ান্ত সমাধান নয়। কেয়ামত পর্যন্ত এই সরকারকে টিকিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ খুব স্পষ্টভাবে পরিবর্তন চায়।”
বর্তমান সরকারে এনসিপির প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনার সরকারে এনসিপি মার্কা দুইজন উপদেষ্টা রয়েছেন। যদি আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান, তবে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করুন বা অবিলম্বে বরখাস্ত করুন।”
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বিষয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন বিদেশির কাছে দেশের সেনাবাহিনীর তথ্য কীভাবে নিরাপদ থাকবে? এই উপদেষ্টার কর্মকাণ্ডে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।”
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, “তারুণ্যের শক্তি এখন আর ঘরে বসে নেই, তারা রাজপথে ন্যায়ের জন্য, দেশের ভবিষ্যতের জন্য লড়ছে।”
বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সমাবেশ পরিচালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত হাজার হাজার তরুণ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সার্কিট হাউজ ময়দান এক উৎসবমুখর রাজনীতিক পরিবেশে পরিণত হয়।
আয়োজক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সমাবেশের মাধ্যমে তারা একটি বার্তা দিতে চেয়েছেন—বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ শুধু দরকার নয়, এখন তা অপরিহার্য।