ফুলতলা(খুলনা)প্রতিনিধি
খুলনার ফুলতলা-ডুমুরিয়ার ব্যাপক এলাকা জুড়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল ডাকাতিয়া। তবে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির মৎস্য ঘের সবজির আবাদ ও ধান ক্ষেত এবং বিল এলাকায় বসবাসকারী বসুরাবাদ, মুজারঘুটা, কৃষ্ণনগর, বটবেড়াসহ কয়েকটি গ্রামের বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে। ফলে এ অঞ্চলের মৎস্য চাষি ও কৃষককুল সর্বশান্ত হয়ে অনাহারে ও অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। অপরদিকে ব্যাংক এনজিও বিভিন্ন সমিতি ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেওয়া কৃষকদের উপর কিস্তি জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে বিল ডাকাতিয়া রক্ষা কমিটির উদ্যোগে রোববার বেলা ১১টায় খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলতলা বাসস্টান্ড এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিল ডাকাতিয়া রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ আবুল বাশার। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নুরুল ইসলাম ও এনামুল হোসেন পারভেজের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এটিএম গাওসুল আজম হাদী, কাজী মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মনির হাসান টিটো, আবদুল আলিম মোল্যা, শেখ ইকবাল হোসেন, সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, ওয়াহিদুজ্জামান নান্না, শেখ মোঃ ওবাইদুল্লাহ, কাজী আনোয়ার হোসেন বাবু, মশিউর রহমান বিপ্লব, এস এম আতাউর রহমান, মাওঃ সাইফুল হাসান, মোঃ হাসিবুর রহমান, মোঃ ফিরোজ মোড়ল, মোঃ হাসিবুর রহমান সর্দার, মোঃ মহিউদ্দিন শেখ, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুল আলম খোকন, প্রেসক্লাব ফুলতলা সভাপতি তাপস কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান, মোঃ শাহীন সরদার, মাস্টার শাহিদুল মোল্যা, আনিছুর রহমান পলাশ, মোতাহার হোসেন কিরণ, মোঃ আলমগীর সরদার প্রমুখ। বিল ডাকাতিয়াকে বন্যা দুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষনা, বিলের পানি দ্রুত নিষ্কাশণের ব্যবস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে কৃষি ঋণের সুদ মওকুপ ও ৬ মাসের জন্য কিস্তি আদায় স্থাগিত, কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরুপণ ও দ্রুত ক্ষতি পুরণের ব্যবস্থা এবং আফিলগেট এলাকায় ভৈরব নদের সাথে বিল ডাকাতিয়ার সংযোগ খাল খনন করে বিলের পানি নিষ্কাশণের স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিম সরদার, টিটো জমাদ্দার, আলমগীর শেখ, আনিছুর রহমান রনি, রবিউল ইসলাম রবি, হিরণ সরদার, জাহিদুল ইসলাম লাবলু, আরাফাত হোসেন, আবুল হোসেন মোল্যা, ইমরুল কায়েস লাল্টু, আইয়ুব মোল্যা, মনিরুল শেখ, আব্বাস মোল্যা প্রমুখ। খুলনা-যশোর মহাসড়কের দু’পাশে বিভিন্ন বয়সী ও পেশার হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।