স্টাফ রিপোর্টার
মাছের রেনু কেনার টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন গোপালগঞ্জের এক তরুণ ব্যবসায়ী। কিন্তু ঘেরের ভেতর ঘোরাফেরার নাটক সাজিয়ে তাকে পড়তে হলো পিস্তলের নলের সামনে। ফিল্মি স্টাইলে পুরো পরিকল্পনা। ছিনতাইকারীরা হুমকি দিয়ে যায়, একটি শব্দও ফাঁস হলে ঘেরের মাটির নিচে চিরনিদ্রায় পাঠিয়ে দেবা জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার
মধুনাগরা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী লিমন শেখ (২১) মাছের রেনু কেনার পরিকল্পনায় যোগাযোগ করেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর (৪৭)-এর সাথে। কয়েকদিন আগে আলমগীরের কথামতো তিনি ৫ হাজার টাকা বায়না বাবদ বিকাশে পরিশোধ করেন। এরপর ১২ জুলাই দুপুরে প্রায় ২ লাখ টাকা সঙ্গে নিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে রওনা দেন লিমন শেখ।
দুপুর ১২টার দিকে কেশবপুর তেল পাম্পের সামনে পিকআপ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে দুই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করে, তিনি কি রেনু কিনতে এসেছেন। লিমন শেখ হ্যাঁ বললে তারা বলেন, আলমগীর তাদের বলেছে ঘেরে নিয়ে যেতে। লিমন নিশ্চিত হতে আলমগীরকে ফোন করলে তিনিও ওই দুজনের সাথেই যেতে বলেন।
সেখান থেকে পিকআপ নিয়ে কেশবপুর হাসপাতালের পাশ দিয়ে প্রায় ৫-৭ কিলোমিটার দূরের বিলের মধ্যে ঢুকে পড়েন তারা। গাড়ি থামাতেই আলমগীরকে দেখতে পান লিমন শেখ। সেখানেই আচমকা ঘুরে যায় পরিস্থিতি। আলমগীর লিমনের কলার চেপে ধরে পিস্তলের নল মুখে ঢুকিয়ে দেয়। সাথে থাকা অজ্ঞাত ব্যাক্তি লিমনের সহকারীর গলায় ছুরি ধরে চিৎকার করে যা আছে সব বের করতে বলে।
মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই তারা লিমনের পকেট থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, একটি রেডমি স্মার্টফোন এবং সহকারীর কাছ থেকে ইনফিনিক্স মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে পিকআপের দরজা ভেঙে টুলবক্সের ভেতর রাখা মাছের রেনু ক্রয়ের ২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
চোখের সামনে এমন ফিল্মি কায়দার ছিনতাইয়ের পরও ক্ষান্ত হয়নি তারা। চলে যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায়, ‘একটা শব্দ পুলিশে বললে এখানেই পুঁতে রাখরা
চলতি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ হানিফ (১৮) জানান, ঘটনাটি আশেপাশের অনেকেই শুনেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।