নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা শাখার অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা ধরনের বিতর্ক ও সংঘাত। সংগঠনের মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ এক প্রেস বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, মনিরামপুর উপজেলায় একটি প্রভাবশালী ছাত্র গ্রুপ কর্তৃক ঘুষ প্রস্তাব, চাপ প্রয়োগ এবং অপপ্রচারের মাধ্যমে সংগঠনকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে।বিবৃতিতে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে মনিরামপুর উপজেলায় গঠিত প্রতিনিধি কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে সেটি বিলুপ্ত করা হয়। পরবর্তীতে দুটি পৃথক গ্রুপ নতুন কমিটি চেয়ে আবেদন করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে যৌথ কমিটি গঠনের চেষ্টাও করা হয়, কিন্তু ‘সানি-সাদি’ নামক একটি গ্রুপ কমিটিতে যোগ না দিয়ে বরং জেলা কমিটিকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ প্রদানের প্রস্তাব দেয় বলে দাবি করেন তিনি।ঘুষ প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে জেলা কমিটি নতুনভাবে সৎ ও আদর্শবাদী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ‘সানি-সাদি’ গ্রুপ যশোরে এসে যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম আকাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং পরবর্তীতে ফাহিম আল ফাত্তাহের সঙ্গেও দেখা করতে চায়। সাক্ষাতে তারা ‘সুপার ফোর’ পদে জায়গা দাবি করে এবং কমিটি না দিলে “বিকল্প সুবিধা” নেওয়ার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ করেন মুখপাত্র।সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অভিযুক্ত সানি ও সাদি বিএনপি মনিরামপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়কের সন্তান এবং ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট কেউ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না, এই বিষয়টি জেনেও তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালাচ্ছে।ফাহিম আল ফাত্তাহ তার বিবৃতিতে বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি—যদি কেউ আমার বিরুদ্ধে এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারে, আমি সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করবো।”তিনি দাবি করেন, সংগঠনের আদর্শ, স্বচ্ছতা এবং সততার নীতিমালায় বিশ্বাসী হয়ে কাজ করছেন এবং এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারে সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।সংগঠনের অভ্যন্তরীণ এই সংকট আগামী দিনে কীভাবে মীমাংসিত হয়, সে দিকেই এখন দৃষ্টি সকলের।