স্টাফ রিপোর্টার
কেশবপুর উপজেলার সাগরদত্তকাটি এলাকায় চাঁদা না দেয়ায় এক ঘের ব্যবসায়ীর ঘেরের স্কেভটরের চাবি কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় কেশবপুর থানা, সেনাবাহিনী ক্যাম্পসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পৌর শহরের সাহাপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম গাজীর ছেলে কেরামত আলী গাজী দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য ঘের ব্যবসা করে আসছেন । তিনি উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি ও বেলকাটি মৌজার চাতরার বিলের মধ্যে ৩২৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মৎস্য ঘের ব্যবসা করে আসছেন। গত ০২ জুন তিনি মৎস্য ঘেরে স্কেভেটর দিয়ে পাড় বাধার কাজ করছিলেন। এসময় পাঁজিয়া এলাকার সাগরদত্তকাটি গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সুমন সরদারের নেতৃত্বে বুলু সরদার, আনিছুর রহমান, মাসুদসহ অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলযোগে ঘেরের পাড়ে এসে ঘেরের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম রাঙ্গার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ঘের করতে দিবে না বলে জানায় তারা। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ঘেরের ভেড়িবাধ নির্মানের কাজে ব্যবহৃত এস্কেভেটর বন্ধ করে চাবি কেড়ে নেয়। এসময় চাঁদা না দিলে মৎস্য ঘেরের বড় ধরনের ক্ষতি এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে স্কেভেটরের চাবি নিয়ে চলে যায়। নিরুপায় হয়ে ঘের মালিক কেরামত গাজী কেশবপুর থানা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ববিষয়ে চাতরার বিল কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বুলু বলেন, চাঁদাদাবি ও স্কেভেটরের চাবি কেড়ে নেয়ার ঘটনা শুনেছি। ০৩ জুন এবিষয়ে জমির সকল মালিকদের নিয়ে মিটিং করা হয়। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘের মালিক থানায় অভিযোগ করেন। থানার ওসি পরবর্তীতে চাবি উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
এ বিষয়ে সুমন সরদার বলেন, চাঁদাদাবির ঘটনা সঠিক নয়।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।