স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের অভয়নগরে ‘সেবক মাল্টিপারপাস কো-আপারেটিভ সোসাইটি লিঃ’ এর তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাপ্য জমি ফিরে পেতে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আসলাম হোসেন বিশ্বাস। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসলাম হোসেন বিশ্বাস বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সোমবার দুপুরে অভয়নগর ‘সেবক’র দুর্নীতিগ্রস্ত কয়েকজন কর্মকর্তা নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এরপর তিনি বলেন, ২০০৮ সালে মো. মুস্তাফিজুর রহমান, আনিসুর রহমান, আব্দুর রহমান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন অভয়নগর সেবকের কর্মকর্তা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ২০১২ সালে নওয়াপাড়া বাজারে হোটেল কাললি নামে একটি ভবনসহ জমি ক্রয় করে সেবক। ২০১৩ সালে সরকারি নির্দেশে সেবকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ভবনসহ জমি ওই চার কর্মকর্তার নামে রেজিস্ট্রি করার পর ভেঙে নতুন মার্কেট করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। মার্কেট নির্মাণের জন্য ২০১৮ মালের ২২ জানুয়ারি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্তা তরিকুল ইসলাম সহ ৪ জনের সঙ্গে চুক্তি করে তারা। কিন্তু ওই জমিতে বহুতল মার্কেট নির্মাণে ব্যার্থ হলে সেবকের ওই ৪ কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ৮ মার্চ আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মার্কেট নির্মাণের রেজিস্ট্রি চুক্তি করে। ৯৮৭ খতিয়ানের ৪২৯ দাগে ৭ শতক জমির উপর পাঁচতলা মার্কেট নির্মাণের জন্য প্রথম তলার কাজ শুরু করা হয়। আসলাম হোসেন বিশ্বাস আরো বলেন, প্রথম তলার কাজ শেষে ০.৭০ শতক এবং দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ শেষে মার্কেটের বাম পাশের অর্ধেক ০.৭০ শতক জমি শর্ত মোতাবেক লিখে দেয় তারা। পরবর্তীতে গ্রাহকদের চাপে ওই চার কর্মকর্তা স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বাড়িতে বসে ৫.৬০ শতক জমিসহ দ্বিতল মার্কেট ৩ কোটি টাকায় বিক্রির প্রস্তাব দেয়। আমি ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রস্তাব দিলে তারা রাজি হয়। এরপর সেবক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩০ লাখ টাকা দিলে সে মার্কেটের প্রথম তলার ডান পাশের দোকানঘরসহ ০.৬৫ শতক জমি আমার নামে লিখে দেয়। পরে কর্মকর্তা আনিসুরকে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা, আব্দুর রহমানকে ৪ লাখ ৪৫ হাজার এবং মুস্তাফিজকে ৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। যার দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। এই টাকা দেয়ার পর আমি ২য় তলার ডান পাশের অংশ লিখে দিতে বললে কর্মকর্তারা বাহানা শুরু করে। যে কারণে আমি আদালতে মামলা করি। তিনি আরো বলেন, আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভয়নগর সেবকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ও ব্যবসায়ী লেনদেনের বিষয়টি তুলে ধরেছি। এখন আমি সেবকের ওইসব কর্মকর্তার নিকট হতে আমার প্রাপ্য জমি ফিরে পেতে পারি সে ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত সেবক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে আসলাম বিশ্বাস যা যা বলেছেন তা শতভাগ সত্য। প্রতারণা করছে আমার সহকর্মী তিন কর্মকর্তা।