সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে দইয়ের মধ্যে চ্যালা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, সাতক্ষীরা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বলফিল্ড সংলগ্ন “ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার” নামক দোকানে এক ক্রেতা দই ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত ঐ দই বাড়িতে নিয়ে খেতে বসে দইয়ের মধ্যে চ্যালা দেখতে পায়। চ্যালা দেখতে পেয়ে সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। “ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার থেকে দই ক্রয়কারী ভুক্তভোগীর নাম পিয়াস মন্ডল। পিয়াস মন্ডল রীতিমতো দইয়ের মধ্যে চ্যালা পাওয়ার বিষয়টি তিনি “সাতক্ষীরা অনলাইন শপ” নামক একটি গ্রুপে লিখে প্রতিবাদও জানান।প্রসঙ্গত, দই আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় খাবার। টক ও মিষ্টি দুই ধরনের দইয়ের প্রচলন রয়েছে। অনেকে এটাকে দধি বা দই বলে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অনেকে টক দই ও মিষ্টি দই রাখেন। দধি বা দই হলো এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়া গাঁজন থেকে প্রস্তুত করা হয়। ল্যাক্টোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাক্টিক এসিড তৈরি করা হয়।যা দুধের প্রোটিনের উপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ ও অতুলনীয় গন্ধ প্রদান করে থাকে। প্রায় ৪৫০০ বছর যাবত মানুষ দধি বা দই তৈরি করছে এবং মানুষ তা খেয়ে আসছে। এদিকে মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা দইয়ের মধ্যে যদি চ্যালা পাওয়া যায় তা হলে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেনা একথা অস্বীকার করার নয়।দইয়ে অনেক উপকার বিদ্যমান থাকলেও কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের সরলতা এবং বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত ভেজাল দই বিক্রির পাশাপাশি নোংরা পরিবেশে দই তৈরি করছে। সাধারণত চ্যালা ময়লা, আবর্জনা যুক্ত স্থানে পাওয়া যায়।এছাড়া চ্যালা নোংরা পরিবেশে বসবাস করে। মুলত চ্যালা দিনের বেলায় লুকায়িত অবস্থায় থাকে এবং রাতে চলা ফেরা করে। ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নামীয় দোকানের দইয়ের মধ্যে চ্যালা পাওয়ার ঘটনায় চারিদিকে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে চ্যালা মুলত আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী। এরা ময়লার স্তুপে থাকার পাশাপাশি পাথরের নিচেও বসবাস করে থাকে। সচেতন মহল সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের মতে দই প্রস্তুত কালীল সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে যদি দই তৈরি করা হয় তা হলে দইয়ের মধ্যে চ্যালা প্রবেশ করার সুযোগ থাকেনা।দইয়ের মধ্যে চ্যালা প্রবেশ করা বলে দেয় দই তৈরির জায়গা খুবই নোংরা। দইয়ের মধ্যে চ্যালার অস্তিত্ব একমাত্র নোংরা পরিবেশ দায়ী বলে অনেকে মনে করেন। এ বিষয় “ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার” এর স্বত্বাধিকারী আশিক ঘোষ এর সাথে আলাপকালে তিনি দইয়ের মধ্যে চ্যালা পাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দইটি আমাদের মোড়ক ব্যাবহার করে কেউ ফাসানোর জন্য এমনটা করতে পারে।পিয়াস মন্ডল আপনাদের দোকান থেকে দই ক্রয় করছে কিনা সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলে প্রমান মিলবে। সে অনুযায়ী দোকানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখার জন্য প্রস্তাব রাখলে আশিক ঘোষ ফুটেজ দেখাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন।