1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman
শিরোনামঃ

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ভবন নির্মাণ শেষেও ১৭ লাখ টাকা বকেয়া

  • প্রকাশের সময় শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ১৪ বার সংবাদটি পাঠিত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পাঁচতলা প্রশাসনিক ভবন-২ নির্মাণে কাজ শেষ করেও ১৭ লক্ষাধিক টাকা না দিয়ে তালবাহানা করা হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা। শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের ওমর আলী মোড়লের পুত্র শ্রমিক ওবায়দুল ইসলাম। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২১ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রফেসর আফজাল হোসেন ও ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. আমানউল্লাহ আল হাদীর তত্ত¡াবধানে ৫ তলা প্রশাসনিক ভবন-২ এর নির্মান কাজ শুরু হয়। চুক্তি হয় ৫তলা ভবন সম্পন্ন করার পর স্কায়ারফুট মেপে প্রতি স্কায়ার ফুট ২শ টাকা হারে আমাদের বিল (টাকা) দেওয়া হবে। এরপর থেকে কাজ শুরু করে ইতোমধ্যে ভবনের কাঠামো তৈরি পর্যন্ত নির্মান হয়েছে। মাঝে মধ্যে কিছু কিছু টাকাও আমাদের দিয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বদলী হন তৎকালীন প্রিন্সিপাল মোঃ আমানুল্লাহ আল হাদী। এরপর নতুন প্রিন্সিপাল হিসেবে আবুল হাশেম যোগদানের পর আমাদের কোন টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে বলেন, ভবনের অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই। আগের কোনো বরাদ্দ বা ব্যয়ের হিসাবও বুঝে পাইনি, তাই কোনো বিল পরিশোধ করতে পারবো না। আমি গরিব মানুষ শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেছি। তারা বেতন না পেয়ে চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। অথচ বর্তমান অধ্যক্ষ অবৈধ’ দাবি করলেও সেই একই ভবনে বর্তমানে সরকারি বরাদ্দে নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে।তিনি বলেন হিসাব মতে ৩৫ হাজার স্কয়ারফুট কাজের মোট বিল হয় ৭০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে আমি পেয়েছি ৪৩ লক্ষ টাকা এবং বকেয়া রয়েছে ২৭ লক্ষ। আপোষের ভিত্তিতে ১০ লক্ষ টাকা ছেড়ে দিলেও এখনো আমার ১৭লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। আমার পাওনা টাকা না দিয়ে নতুন শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করা অন্যায়। কষ্টার্জিত শ্রমের সঠিক ম‚ল্য না পেয়ে হতাশ “বাবার চিকিৎসা, সংসার চালানোর সবকিছু আজ অনিশ্চয়তায়। কঠোর পরিশ্রমের পর টাকা না পেয়ে সকলেই নিদারুন অর্থকষ্টে ভুগছে। আমি আমার পাওনা টাকা চাই, শুধু ন্যায়বিচার চাই। জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নকে জানালে তারা কলেজে গিয়ে প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে আসেন, যতদিন টাকার বিষয়টি সুরাহা না হবে, ততদিন শ্রমিক পাঠানো বন্ধ থাকবে। আমি পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION