ইব্রাহিম খলিল (সাতক্ষীরা)
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনমনে আস্থা ও মনোবল বৃদ্ধিতে সীমান্তবর্তী এলাকার পূজামন্ডপগুলোতে টহল কার্যক্রম শুরু করেছে বিজিবি। গতকাল বুধবার থেকে সাতক্ষীরারস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকার পূজামন্ডপসমূহে এই টহল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩৩ ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, আগামী ৮ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ২ অক্টোবর সকাল থেকে বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকার পূজামন্ডপসমূহে বিজিবির টহল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার ৮ কিলোমিটারের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২০টি এবং কলারোয়া উপজেলায় ২০টি সর্বমোট ৪০টি পূজামন্ডপ রয়েছে। ওই এলাকায় কর্তব্যরত বিজিবি টহলদলকে ২টি টাক্সফোর্সে বিভক্ত করে দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য দ্বারা ৪টি সেকশনে ভাগ করে পূজামন্ডপসমূহের টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।বিজিবির টহলদল পূজামন্ডপসমূহে সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক, পূজামন্ডপসমূহে দূস্কুতিকারী কর্তৃক আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে। এছাড়াও বেইজ ক্যাম্প হতে পূজামন্ডপসমূহে ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছানোর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। যে সকল পূজামন্ডপে পৌছাতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় প্রয়োজন হবে সে সকল পূজামন্ডপের নিকটবর্তী স্থানে বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। দায়িত্বপূর্ণ পূজামন্ডপ এলাকার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও পূজা কমিটির সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় করতঃ টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।