স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন তাঁর সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার মশরহাটী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মতিয়ার বিশ্বাস (৪৫)। তিনি উপজেলার মশরহাটী গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তিনি উপজেলার একজন ঘাট শ্রমিক ছিলেন।আহত অপর দুই ব্যক্তিরা হলেন আব্দুল হালিম(৪৫) ও লিটন শেখ (৪১)। আব্দুল হালিম উপজেলার বনগ্রাম গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে এবং লিটন শেখ উপজেলার মশরহাটী গ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে।
এলাকাবাসীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভৈরব নদের ওপর স্থাপিত ভৈরব সেতুপেক পাশেই কুদ্দুসের চায়ের দোকান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে দোকানে বসে চা পান করছিলেন মতিয়ার বিশ্বাস, আব্দুল হালিম ও লিটন শেখ। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন লোক সেখানে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলা থেকে বাঁচতে তাঁরা সেতুর পাশে
একটি বাড়ির ভেতরে দৌড় দেন। এ সময় হামলাকারীরা পিছু নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করে তাঁদের মাথা, পেট, হাত-পাসহ শরীরের
বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। এতে তাঁরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগেরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মতিয়ার বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আব্দুল হালিম ও লিটন শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের খুলনা মেডিকেলকলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। রাতেই তাঁদের একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অপরজনকে খুলনার বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।মতিয়ার বিশ্বাসের স্ত্রী মিম বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর তিনি বাড়িতেই ছিলেন। রাত নয়টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে যেয়ে দেখি সেতুর পাশে এক ব্যক্তির বাড়ির সেফটি ট্যান্কের পাশে মতিয়ারকে ছুরি মেরে কাঁদার মধ্যে পুঁতে রাখা হয়েছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষদের ছুরিকাঘাতে মতিয়ার বিশ্বাস খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে । বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।