এম কামরুজ্জামান
ভরবো মাছে মোদের দেশ”গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশে এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ পালন উপলক্ষে শ্যামনগরে গনমাধ্যমের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার ৩০ জুলাই সকাল ১০ উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসের বাস্তবায়নে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদারের সভাপতিত্বে মেরিন ফিসারি অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আবু সাঈদ,প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান প্রমুখ।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম মোহাম্মদ আলী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিএম আব্দুল কাদের উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ রুবেল,আল-মামুন সহ বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেরা।
সভাপতি তার বক্তব্য বলেন,খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন,পুষ্টি চাহিদা পূরন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য সেক্টরের গুরুত্ব অপরিসীম।জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানের স্বপ্নপূরনে তার সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও গতিশলি উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে অগ্রসর হয়েছে।মৎস্য খাতে সরকার কতৃক গৃহীত সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের সফল বাস্তবায়নের ফলে বিগত দশকে মাছের উৎপাদন ছিল সন্তোষজনক। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট মৎস্য উৎপাদিত হয়েছে ৪৭.৫৯ লক্ষ মে.টন, মাথাপিছু দৈনিক মাহু গ্রহণের পরিমান ৬৭.৮০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্য ও মৎস্যজাত পন্য রপ্তানি করে ৪৭৯০.৩০ কোটি টাকা আয় করেছে। দেশের মোট জিডিপির ২.৪৩ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২২.১৪ শতাংশ মৎস্য খাতের অবদান।বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১৪ লক্ষ নারীসহ প্রায় ১২ শতাংশের অধীক লোক মৎস্র সেক্টরের সাথ জড়িত।বাংলাদেশের জলজ সম্পদের যযথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবী, উদ্যোক্তসহ সমাপৃক্তসহ সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে মৎস্র সেক্টরকে প্রতিষ্ঠিক করেছে এক অনন্য উচ্চতায়। অভ্রন্তরীন মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বাংরাদেশ ৩য়,বন্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম, উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়া আহরণে ৮ ম, বিশ্বে ইলিম আহরনে ১ম, তেলাপিয়া উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ।কাঁকড়া হ্যাচারিতে কাকড়ার পোনা উৎপাদন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন, মাছধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের ভিজিএফ প্রদান ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জেলেদের জন্য স্মার্ট পরিচয়পত্র প্রদান, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, স্মাৰ্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে মৎস্য সংশ্লিষ্ট অ্যাপস উদ্ভাবনসহ মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের মৎস্য সেক্টর।