স্টাফ রিপোর্টার,শ্যামনগর
উপকুলীয় জনপদ শ্যামনগরে কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষনে এবার সরকারিভাবে লবন সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কোরবানির পরপরই চামড়াগুলো সংরক্ষনেও দেয়া হয়েছে বিভিন্ন নির্দেশনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন বিষয়টি ইতিমধ্যে চামড়া সংরক্ষনের সাথে জড়িতদের অবহিত করেছেন।
এদিকে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর সুত্রে জানিয়েছে উপজেলার ৯৫টি মাদ্রাসাকে চামড়া সংরক্ষনে প্রয়োজনীয় সহায়তার কথা জানানো হয়েছে। সরকারিভাবে লবন সরবরাহ করা হবে-উল্লেখ করে তারা আরও জানায় কোনভাবেই চামড়া নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। পর্যাপ্ত লবন দিয়ে কয়েকদিন ধরে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে সবাইকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।এদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য মিলেছে এবারের কোরবানি ঈদে শ্যামনগরে প্রায় আট হাজারের বেশী পশু কোরবানি হতে পারে। সঠিক দাম নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে লবন সরবরাহের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পৌর সদরের থানা মসজিদ মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুল খালেক জানান আগে কখনো সরকারিভাবে লবন সরবরাহ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে মাদ্রাসার উন্নয়নকল্পে চামড়া সংগ্রহ করেও নায্য মুল্য পাওয়া যেত না। অনেক সময় চামড়া যথাসময়ে ট্যানারীতে না পাঠাতে পারায় তা নষ্ট হতো। হাম্মাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মওছুফ সিদ্দিকী জানান আগে লবন ছাড়া চামড়া সংরক্ষনে নায্য দাম বঞ্চিত থাকতো মাদ্রাসাগুলো। চামড়া সংরক্ষনে সরকারিভাবে সহায়তার ঘোষনায় অনেকগুলো মাদ্রাসা এবার চামড়া সংরক্ষনের উদ্যোগী হয়েছে।বংশীপুর শাহী মসিজদের চামড়া সংরক্ষন কমিটির সদস্য আজিজুর রহমান জানান তাদের প্রায় ৩০ মন লবনের চাহিদা রয়েছে। এছাড়া হরিনগর ও শ্রীফলকাঠির দু’টি মাদ্রাসাও পর্যাপ্ত চামড়া সংরক্ষন করবে। সরকারি উদ্যোগে লবন সরবরাহের কথা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জানতে পেরে সকলে খুবই খুশি হয়েছে। এর ফলে এবার চামড়ার নায্য দাম নিশ্চিত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন জানান চামড়া দেশীয় অর্থনীতির গুরুত্বপুর্ন অংশ। কোনভাবে চামড়া নষ্ট হতে দেয়া যাবে না বলেই সরকারি উদ্যোগে চাহিদামত লবন সরবরাহ করা হবে। শ্যামনগরের জন্য এবার প্রায় ১০ মেঃ টন লবন সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। একইভাবে চামড়ার পাচাররোধে সব পক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।