1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

পুলিশি অভিযান চললেও মাদককারবার যেন থামছে না

  • প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৫০ বার সংবাদটি পাঠিত

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

কেশবপুরে পুলিশি অভিযান চললেও মাদককারবার যেন থামছে না। মাদককারবারিরা দিনদিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। নেশার টাকা যোগাতে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ায় অভিভাবকরা শঙ্কিত।জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে মাদকের ভয়াবহতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উঠতি বয়সী যুবক, শিক্ষার্থীসহ কিশোর গ্যাং বাহিনী জড়িয়ে পড়ছে মাদকের সঙ্গে।এর মধ্যে উপজেলার মজিদপুর, বাগদা, দেউলি, প্রতাপপুর, শ্রীফলা, মঙ্গলকোট, চুয়াডাঙ্গা, কর্ন্দপপুর, আলতাপোল, হাসানপুর, টিটাবাজিতপুর, বুড়িহাটি, চিংড়া, সাগরদাঁড়ি, পাঁজিয়া বাজার, বাউশলা, ফতেপুর, আলতাপোল, সন্যাসগাছা ব্রীজেরমাথা, গৃধরনগর ও পৌর এলাকায় প্রতিনিয়ত স্থানীয় ও বহিরাগত যুবকেরা মাদক কেনাবেচা করছেন। বিভিন্ন সময়ে কেশবপুর থানা, গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে মাদক উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করলেও থামছে না মাদকের ছোবল।শুধু চলতি বছরের মে মাস ও ৮ জুলাই পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন মাদককারবারের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে হানা দিয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের সদস্যরা মাদকদ্রব্যসহ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা ও গাঁজা।থানা সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর থানা পুলিশ গত ৮ মে উপজেলার দেউলি গ্রামের বিমল দাসের ছেলে পলাশ দাস ও বিষ্ণুপদ দাসের ছেলেকে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে। পরে ৩১ মে উপজেলার আলতাপোল মীরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে ইজাজুল ইসলামকে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে।এ ছাড়া ৬ জুন উপজেলার গৃধরনগর গ্রামের মৃত সাজ্জাত আলী গাজীর ছেলে মমিন উদ্দিনকে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে। ৭ জুন উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আবদুল গফফার শেখের ছেলে আক্তারুজ্জামানকে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে। একই দিনে উপজেলার বাউশলা গ্রামের নফর আলী মোড়লের ছেলে শাহিনুর রহমানকেও ১২২ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।কেশবপুর পৌর শহরের বাসিন্দা রাসেল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলার মধ্যকুল এলাকায় এক মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এলাকায় মাদকদ্রব্য বেচাকেনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সচেতন মহল বিস্ময় প্রকাশ করেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যুবক বলেন, কেশবপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলাতলা মোড় ও ৬ নম্বর কেশবপুর সদর ইউনিয়নের মূলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনের বাগানে, মজিদপুর চিহ্নিত মাদক কারবারি রুহুল আমীনের দোকানে, দোরমুটিয়া রশিদ মোড়ে আবদুস সামাদ মোড়লের চায়ের দোকানে, বাগদা গ্রামের রহিম সরদারের বাঁশ বাগানে, শহরের মাছ বাজারে, ট্রাক টার্মিনাল, মধ্যকুল তেল পাম্প, বাগদা মিলের পাড়ে, দেউলি মোড়ে ,পাঁজয়া বাজারের বাগডাঙ্গা মোড়, বাংলা লিংক গলি, নাথ পাড়া সংযোগ সড়ক এসব জায়গায় সন্ধ্যার পর স্থানীয় এবং বহিরাগতদের নিয়ে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজা সেবনের আড্ডা জমে ওঠে।মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর পলাশ বলেন, হঠাৎ করে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সী যুবক। প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলকোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে বটগাছ তলায়, বসুন্তিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ও রামকৃষ্ণপুর এলাকার দিকে মাদক বিক্রেতা এবং সেবনকারীদের আনাগোনা দেখা যায়।উপজেলা নাগরিক সমাজের আহব্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, মাদকে ভাসছে কেশবপুর। এখনই যদি এদের রুখে দেওয়া না যায়, তাহলে যুবক ও শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সী তরুণরা বিপদগামী হয়ে উঠবে। কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছি।তিনি বলেন, পৌর শহরসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ব্যাপকহারে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে।কেশবপুর থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, মাদকের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই। কেশবপুরে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ৬ জুলাই উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে মাদক, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ শীর্ষক নাগরিক সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নের সচেতনতামূলকসভা করা হবে। এ ছাড়া মাইকিং করেও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে।

 

 

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION