সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়ন এর “গোবিন্দপুর আবু হানিফ উচ্চ বিদ্যালয়” দুই পদের বিপরীতে নিয়োগ কমিটিকে ম্যানেজ করার মাধ্যমে প্রার্থী চুড়ান্ত করার অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রেক্ষিতে “গোবিন্দপুর এ,এইচ আবু হানিফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়” এর প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ গাজী মোঃ শফিকুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গাজী আব্দুল হাকিম নিয়োগ বোর্ডের আগে দুই জন প্রার্থীকে মনোনীত ও চুড়ান্ত করে তাদের নিকট থেকে ৩১ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেধা নয় টাকার বিনিময়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নিয়োগ কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল রিফাত এবং সংশ্লিষ্ট যশোর শিক্ষা বোর্ডের উপ কলেজ পরিদর্শক ও নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধি মদন কুমার দাশ কে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করার মাধ্যমে বিধিবহির্ভূত ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মনোনীত ও চুড়ান্ত করা প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদান করা হবে।গোবিন্দপুর আবু হানিফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর দুই পদের মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে জয়বর্ধণ মন্ডল কে মনোনীত ও চুড়ান্ত করে তার নিকট থেকে ১৬ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন গোবিন্দপুর এ, এইচ, আবু হানিফ উচ্চ মাধ্যমিক  বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ গাজী মোঃ শফিকুল ইসলাম ও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গাজী আব্দুল হাকিম। অফিস সহায়ক পদে আব্দুর রশিদ এর ছেলে মামুনুর রশীদ কে মনোনীত ও চুড়ান্ত করে তার নিকট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এদিকে ৩১-০৫-২৪ ইং তারিখ শুক্রবার সকালে  নিয়োগ বোর্ডের আগে নিয়োগ কমিটিকে ম্যানেজ করার মাধ্যমে প্রশ্ন পত্র ফাঁস করে বিধিবহির্ভূত ভাবে সাজানো পাতানো লোক দেখানো নিয়োগ বোর্ডের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত পদের বিপরীতে ৩১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দুই জন প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হবে এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয় ডিজি’র প্রতিনিধি সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে, নিয়োগ বোর্ডের আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক দুই পদে উৎকোচ বিনিময়ে প্রার্থী মনোনীত এবং চুড়ান্ত করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি প্রার্থীদের নাম বললেন আমি শুনলাম, আমার সাথে আরও দুজন সরকারি কর্মকর্তা অথাৎ নিয়োগ কমিটির আমরা ৩ জন সদস্য আছি বিষয়টি দেখবো। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ড শুরু হয়েছে। আমাকে কেউ ম্যানেজ করিনি কিংবা নিয়োগ বোর্ডের আগে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের কোন সুযোগ নেই। তিনি আরও দাবি করে বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা শত ভাগ ফেয়ার হবে। এ বিষয় যশোর শিক্ষা বোর্ডের উপ কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাস এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা ফেয়ার হবে। টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ ও প্রশ্ন পত্র ফাঁস করার ব্যাপারে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ বিষয় শ্যামনগর উপজেলার “গোবিন্দপুর এ,এইচ আবু হানিফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়” এর প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ গাজী মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার আলাপের চেষ্টা কালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এ বিষয় “গোবিন্দপুর এ,এইচ আবু হানিফ উচ্চ বিদ্যালয়” এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গাজী আব্দুল হাকিম এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে নিয়োগ বোর্ডের পূর্বে ৩১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী মনোনীত ও চুড়ান্ত করার ব্যাপারে তিনি অস্বীকার করেন।