খুলনা প্রতিনিধি: বিদ্যুতের অযৌক্তিক মিটার রেন্ট ও ডিম্যান্ড চার্জ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন খুলনা নাগরিক সমাজ। শনিবার (১১ মে) খুলনা প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ দাবি জানান। আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেন তারা।লিখিত বক্তব্যে নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, ২০১৪ সালে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে ওজোপাডিকো। যার অধীন খুলনায় ২০১৫ সালে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। প্রিপেইড মিটার স্থাপন কালে ওজোপাডিকো’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিনামূল্যে এ মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। এ বাবদ কোনো মূল্য নেয়া হবে না। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সংস্থাটি মিটার প্রতি আবাসিক মিটারে মাসে ৪০ টাকা এবং বাণিজ্যিক মিটারে ২৫০ টাকা হারে ভাড়া গ্রহণ করা শুরু করে, যা গ্রাহকদের সাথে রীতিমত মিথ্যাচার ও প্রতারণা।খুলনা নাগরিক সমাজসহ অন্যান্যদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে অন্যান্য প্রতিশ্রুতির সাথে ঘোষণা করেছিলেন যে, মিটারের মূল্য সমন্বয় হওয়ার পর আর কোনো মিটার ভাড়া নেয়া হবে না।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মিটার স্থাপনের সময় আবসিক মিটারের ক্রয়মূল্য ছিল ৩,২০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক মিটারের মূল্য ছিল ১৪,০০০ টাকার মত। অথচ, গত ৮ বছর যাবত উপরিল্লিখিত হারে মিটার ভাড়া নেয়া হচ্ছে, যা ক্রয়মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি নেয়া হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সরকার একদিকে গ্রাহকের ব্যবহৃত বিদ্যুতের উপর ভ্যাট গ্রহণ করছে, যা সংবিধিবদ্ধ। অন্যদিকে বিদ্যুতের চার্জ বাবদ মোট চার্জ হিসেবে অর্থ নেয়ার পরও ডিম্যান্ড চার্জের নামে একটি বিশাল অংকের টাকা গ্রহণ করছে সংস্থাটি। যে বিষয়টি আমাদের নিকট বোধগম্য বা গ্রহণযোগ্য নয়।আমরা ওজোপাডিকোর প্রতি মিটার ভাড়া এবং ডিম্যান্ড চার্জ প্রত্যাহার, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সময় খুলে নেয়া এনালগ মিটারের জামানত/মূল্য ফেরৎ সমন্বয় করা আহ্বান জানাচ্ছি। চলতি মাসের মধ্যে সংস্থাটি এ ব্যাপারে গ্রাহকদের সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করছি। অন্যথায় দাবী পূরণে লাগাতার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।