মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন ধরে মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর নামক কোচবিলে অবৈধ ঘের অপসারণের দাবী করে আসছে এলাকার শত শত কৃষকরা। উপজেলা প্রশাসন অবৈধ ঘের অপসারণে সরেজমিন পরিদর্শন সহ দফায় দফায় কৃষকদের সাথে বৈঠক করেছেন। তারপরও ঘের মালিকের পক্ষ নেওয়ায় এলাকার শত শত কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না অফিস ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয় বলে জানাগেছে।
সূত্রে জানাযায়, মিমাংসা জন্য উভয়পক্ষকে ডাকলেও রোববার দুপুরে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয় এলাকার শত শত কৃষকসহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ মাহমুদা আক্তার ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ইউএনও’র কার্যালয়ে ঘের মালিক উপস্থিত না হওয়ায় নির্বাহী কর্মকর্তা ঘের মালিকের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় এলাকার শত শত কৃষক অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশসহ অফিস ঘেরাও করে রাখে। তাৎক্ষনিক নির্বাহী কর্তকর্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য অতিরুক্ত পুলিশ ও আনছার বাহিনী এনে কৃষকদের নিচে নামিয়ে দেয়। ঢাকুরিয়া, ভোজগাতী ও হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কৃষি জমি পানি নিস্কাশন, মাটি খনন রক্ষা কমিটির সভাপতি ও যুবদল নেতা মনির পাটোয়ারী জানান, তিন মাস আগে ইউএনও’র নির্দেশে দুটি কমিটি গঠন করা হলে তদন্ত কর্মকর্তাগণ সরেজমিন গিয়ে সব রিপোট কৃষকের পক্ষে দিয়েছে, সে মোতাবেক ইউএনও অফিসে আজ দু’পক্ষকে ডাকার কথা ছিলো কিন্তু ঘের মালিকদের না ডেকে ঘের মালিকদের পক্ষে কথা বলেছে। তিনি আরো বলেন প্রশাসন যদি কিছু না করে তাহলে ৮/৯ গ্রামের কৃষকরা আইন হাতে তুলে সব ঘের উচ্ছেদ করে দিবে। অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন সাবেক জামায়াতের সভাপতি নূরুল ইসলাম জানান, আমাদের প্রাণের দাবী কোচবিল থেকে অবৈধ ঘের গুলো উচ্ছেদ করে কৃষি জমি রক্ষা করা। কৃষক সাইফুল ইসলাম ইউএনও মহোদয়কে প্রশ্ন করে বলেন স্যার আপনি দীর্ঘ তিন মাস ধরে আমাদের বলে আসছেন সরকারী ভাবে কোন ঘের মালিকরা অনুমতি না নিয়ে তাদের ইচ্ছা মতো ঘের তৈরি করেছে। তাহলে ঘের মালিকরা অন্যায় করেছে আপনি কেন তাদের আইনীয়ের আওতায় আনছেন না। তখন ইউএনও বিষয়টি অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাইরে থাকা কৃষকরা এক ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না জানান, সোমবার উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং শেষে ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, ঘের মালিক চার জন ও কৃষকের পক্ষে চারজন প্রতিনিধি নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে