দুর্বাডাঙ্গা (মণিরামপুর) প্রতিনিধি
মণিরামপুরের ১৭নং মনোহারপুর ইউনিয়ন বাসীর গর্ব বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অফিসার আসাদুজ্জামান লাভলু আর নেই। স্ট্রোকজনিত জটিলতায় তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।২৯জুন রবিবার বাদ যোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নিজ এলাকা যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ১৭নং মনোহরপুর ইউনিয়নের কপালিয়া বাজার মাঠে। জানাজায় অংশ নেন হাজারো মানুষ।কান্নাভেজা চোখে প্রিয়জনদের কাছ থেকে বিদায় নেন তিনি। সেই মুহূর্তে আকাশ যেন ভারী হয়ে ওঠে, বাতাসেও ছিল শোকের হাহাকার। পরে রাষ্ট্রপ্রেমিক এই সৈনিককে দাফন করা হয় পারিবারিক কবরস্থানে।মরহুম আসাদুজ্জামান লাভলু ছিলেন বারবার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম আক্তার ফারুক (মিন্টু) ভাইয়ের ছোট ভাই। দুই ভাইয়ের নিবিড় সম্পর্ক ছিল জনমানুষের আলোচনার বিষয়।তাঁর এই অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো ইউনিয়নজুড়ে। একদিকে যেমন হারিয়েছে দেশের এক সৎ ও নিষ্ঠাবান বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা, অন্যদিকে এলাকাবাসী হারিয়েছে তাদের একজন আপনজন, ছায়াসঙ্গী, অভিভাবকস্বরূপ ব্যক্তিত্ব। জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ মোহাম্মাদ ইকবাল হোসেন, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য আবু মুসা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাঁন শফিয়ার রহমান, মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হোসাইন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রাসেল হোসেন, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ, এবং বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। মনিরামপুরবাসী বলছে, “ভালো মানুষগুলো কেন যেন খুব তাড়াতাড়িই চলে যায়।”আসাদুজ্জামান লাভলুর প্রস্থান যেন এক সজীব হৃদয়ের নিথর হয়ে যাওয়া।