1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

দিনভর নাটকীয়তার পর মধ্য রাতে আম ছেড়ে দিল পুলিশ

  • প্রকাশের সময় শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৩ বার সংবাদটি পাঠিত
স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বেলতলা আম বাজার থেকে অপরিপক্ক ৬২ ক্যারেট গোবিন্দভোগ আম বোঝাই একটি আলমসাধু আটক করে স্থানীয় জনতা।পরে শার্শা থানা পুলিশকে খবর দিলে অপরিপক্ক আম বোঝাই আলমসাধুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় আলমসাধুর ড্রাইভার ও একজন অসাধু আম ব্যাবসায়ী মোট দু’জন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।অভিযোগ উঠেছে, দিনভর নাটকীয়তার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কে এম. রবিউল ইসলাম কোন প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে জব্দকৃত অপরিপক্ক ৬২ ক্যারেট আম, বাহনের কাজে ব্যবহৃত একটি আলমসাধু, চালক ও অসাধু আম ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল ও স্থানীয় জনতার মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই তাকে দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা আখ্যায়িত করে অনতিবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
আম বাজার সূত্রে জানা গেছে, গত (২৪ শে এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সকালে একজন অসাধু আম ব্যবসায়ী গাছ থেকে ৬২ ক্যারেট অপরিপক্ক গোবিন্দভোগ আম গুলো পেড়ে আলমসাধু যোগে বেলতলা বাজারে নিয়ে আসলে প্রথমে স্থানীয় জনতার নজরে পড়ে। আমগুলো পাকার অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দিলে’ পুলিশ এসে অপরিপক্ক আম, একটি আলমসাধু, আলম সাধুর ড্রাইভার, ও একজন অসাধু আম ব্যবসায়ীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে অজানা কারণে অপরিপক্ক আম, আলম সাধু, ও দু’জন ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কে এম. রবিউল ইসলাম আম জব্দের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, জব্দকৃত আম, আলমসাধু, ড্রাইভার ও আমের বেপারীকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমিত নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, আম জব্দের বিষয়ে  ওসি আমাকে জানিয়েছিলে। কিন্তু পরে কি করেছেন’ তা জানাননি। তিনি আরো বলেন, এখনো গোবিন্দভোগ আম পাকার সময় হয়নি। তবে’ যদি কোন গাছের আম অগ্রিম পাকে’সে ক্ষেত্রে ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আম পাড়তে পারবেন।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, আম জব্দপর বিষয়ে ওসি আমাকে জানালে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছিলাম। পরে বিষয়টি কি হয়েছে আমাকে তিনি জানাননি। তিনি আরো জানান, যদি কোন ব্যক্তি অপরিপক্ক আম কার্বাইড অথবা ক্ষতিকর রাসায়নিক কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করে, তবে’তার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION