আব্দুল খালেক,কেশবপুর
যশোরের কেশবপুরের মোমিনপুর গ্রামে জমি সক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আব্দুর রউফ নামে এক শিক্ষক মারাত্মক আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি হয়েছেন। তিনি মোমিনপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক। এ ঘটনায় আহত ওই শিক্ষকের স্ত্রী মনিরা পারভিন শিল্পি বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মতিয়ার রহমান, আতিয়ার রহমান, মশিয়ার রহমান ও আজিবর রহমানের সাথে একই গ্রামের মৃত নুর আলী সরদারের ছেলে সাহেব আলীর বসত বাড়ির জমির সীমানা নিয়ে গত ৬ মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত বুধবার সকালে এ বিরোধ নিস্পত্তির জন্য একই এলাকার মৃত গহর আলীর ছেলে মোমিনপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আব্দুর রউফ বাবলুর বাড়িতে সালিসি মজলিস চলছিল। সালিসি মজলিস চলাকালে একপর্যায়ে ওই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সেলিম হোসেন, আব্দুল আলিম সরদারের ছেলে ফিরোজ হোসেন রসুল, মৃত নুর আলী সরদারের ছেলে সাহেব আলী সরদার সালিসি মজলিসে উপস্থিত মাতব্বরদের ওপর চাড়াও হয়। তাদের শান্ত হতে বললে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা চেয়ার দিয়ে শিক্ষক আব্দুর রউফের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করেন। বর্তামানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। ঘটনাটি উল্লেখ করে আহত শিক্ষকের স্ত্রী মনিরা পারভিন শিল্পি বাদি হয়ে ওই দিন কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ বিষয়ে বিবাদী ফিরোজ হোসেন রসুল বলেন, শিক্ষক আব্দুর রউফের ওপর তারা কেউ হামলা করেনি। সে নিজেই টিনের ওপর পড়ে যায়। এতে তার মাথা ও পা কেটে যায়। কেশবপুর থানার দারোগা হেলাল উদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বব ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।