শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি
মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যুদের কাছে জিম্মি থাকা ১০ জেলেকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে পরিবারের কাছে ফেরত দিল বন বিভাগ। বনদস্যুদের সাথে গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে তাদের ডেরা থেকে অপহৃত জেলেদের উদ্ধার করা হয়। রোববার বিকালে সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন এই ঘটনা ঘটে, এসময় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন জানান, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের তক্তাখালী নামক এলাকায় বনদস্যুদের সাথে বনবিভাগের সদস্যদের গুলিবিনিময় হয়েছে। এসময় বনদস্যুদের ডেরা থেকে ১০ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে বনদস্যুদের ফেলে যাওয়া ১ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি, ১টি সোলার প্যানেল ও ৩টি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেদের রাতে বুড়িগোয়ালিনি স্টেশনে আনা হয়েছে। সোমবার সকালে অপহৃত জেলেদেরকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) জিয়াউর রহমান বলেন, সুন্দরবনের তক্তাখালী এলাকায় বনদস্যু বাহিনীর উপস্থিতি জেলেদের মাধ্যমে জানতে পেরে রোববার বিকালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ বনদস্যুরা তাদেরকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এসময় বন বিভাগের সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে এক পর্যায়ে বনদস্যু বাহিনী ডেরা ও মালপত্র ফেলে গহীন সুন্দরবনে পালিয়ে যায়। এসময় আস্তানা টি পুডি য়ে দেওয়া হয়।সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, উপজেলার চুনকুড়ি গ্রামে দাউদ গাজীর ছেলে আলিম গাজী, বাহার আলী সরদারের ছেলে নূরুল ইসলাম, আলিম গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম, হরিনগর গ্রামের ফজলে সানার ছেলে হাফিজুর রহমান, খলিলুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান, মৃত ইমান আলী সানার ছেলে মুছাক সানা, ছোট ভেটখালী গ্রামের মজিদ গাজীর ছেলে শফিকুল গাজী, বড়ভেটখালী গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম এবং দুরমুজখালী গ্রামে লিয়াকত মল্লিকের ছেলে রফিকুল মল্লিক।এদিকে পুনরায় সুন্দরবনে বনদস্যুদের তৎপরতা জেলেদেরকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। সুন্দরবনের কর্মরত জেলেরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সহ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাতে সুন্দরবনের বনদস্যু নির্মূল করা হয়।