মহিউদ্দীন বাপ্পী,শার্শা
নিত্যপণ্যের বাজারের যখন অস্থিরতায় ঠিক তখনিই আগুন কাঁচা মরিচের বাজারে।অধিকাংশ সবজির দাম পৌছে ১০০ এর ঘরে ।মিষ্টি কুমড়া,পটল আর পেপে মিলছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।কোন রকম ঝাজ কমছে না কাঁচা মরিচের।এক কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫০০/৬০০ টাকা।যা দুইদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ২২০/৩৫০ টাকা। দুই রাতের ব্যবধানে মূল্য বেড়েছে দিগুন। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। গতকাল সোমবার(১৪ অক্টোবর) শার্শার উপজেলার বাগআঁচড়া সহ আশপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে।সরেজমিনে দেখা যায়, বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অথচ এই কাঁচা মরিচ গত ২ দিন পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছিলো ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে।১/২ দিন আগে যেখানে ২৫০/৩০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের এমন দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। বাগআঁচড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা মেহেদি হাসান জানান, বেগুন ১৩০ টাকা, পটল ৮০-৯০ টাকা, শসা ৮০-১০০ টাকা, কাকরোল ৭০-৮০ টাকা,কচুর মুখি ৫০/৬০ টাকা, কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ ৫০০-৬০০ টাকা ও লেবুর হালি ৪০/৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাগআঁচড়া বাজারে ক্রেতা আলীম উদ্দীন বলেন,সকালে বাজার করতে এসে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে অবাক হয়েছি। একশ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা চাইচ্ছে তথচ গত পরসু ছিলো ৩০ টাকা।দুই রাতের ব্যববধানে যদি এমন অবস্থা হয় তাহল আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা করুন হবে। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান।উপজেলার গোগা বাজারে গিয়ে কথা হয় ক্রেতা শাহিন আলমের সাথে তিনি জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম শুনলে কেনার সাধ মিটে যায়। আগে যেখানে ২০ টাকার মরিচ কিনলে আড়াইশ গ্রাম পেতাম, সেখানে এখন ১২৫ টাকা দিয়ে আড়াইশ গ্রাম নিতে হচ্ছে। বাজারে সব থেকে এখন দামি পণ্য কাঁচা মরিচ। পাশেই দাঁড়ানো মিরাজ আলী বলেন, কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেশি। প্রয়োজনে কাঁচা মরিচ ছাড়াই রান্না হবে। এত দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কেনা আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। পরে তিনি কাঁচা মরিচ না কিনেই বাসায় ফিরে যান।বাজারের আড়ৎদাররা জানান,ভারতে যে এলাকা থেকে কাঁচা মরিচ কম আসছে।আমদানি থেকে চাহিদা বেশী থাকায় দাম বেশী হয়ে যাচ্ছে।তবে আজ থেকে হয়তো দাম একটু কমবে।আসলে আমরা তো নিজেরা দাম বাড়াইনা। যেমন মূল্যে ক্রয় করি ঠিক তেমন মূল্যে বিক্রি করছি। শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নুসরাত ইয়াসমিন বলেন,বিষয়টি দেখছি। যদি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হয় তাহলে উপজেলা প্রশাসন অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।