1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman
শিরোনামঃ

হালখাতা উৎসবে মেতেছে মনিরামপুরের ব্যবসায়ীরা

  • প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ১১৫ বার সংবাদটি পাঠিত

কণ্ঠ ডেস্ক 

বাংলা বছরের শুরুতেই জমে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হালখাতার উৎসবে। প্রতিবছরের ন্যায় বাংলা বৈশাখ মাস থেকেই শুরু হয় গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে হালখাতা। ইতিহাস বলছে মোঘল সম্রাট আকবরের আমলে বৈশাখ মাসের প্রথম দিন থেকে নববর্ষ উদযাপনের প্রথা শুরু হয়। সেই সময় থেকেই ব্যবসায়ীরা তাঁদের কেনাবেচার হিসেব রাখার জন্য শুরু করেন হালখাতার প্রথা। হাল অর্থে নতুন হালখাতা অর্থাৎ নতুন খাতা। পুরোনো বছরের সব হিসেব মিটিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় নতুন খাতায় হিসেব রাখা। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়ীরা এই রীতির বাইরে গিয়ে বছরে দুইটি করে হালখাতা দিচ্ছেন বৈশাখের শুরুরে একবার আবার ইংরেজি বছরের জানুয়ারির শুরুরে একবার। এতে করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জের মানুষের সিংহভাগের আয়ের উৎস কৃষি কাজ বা খাদ্য শস্য উৎপাদন সেই হিসাবে বৈশাখ মাসে হালখাতা দিলে কৃষকরা তাদের ধান বিক্রিয় করে সেই বকেয়া দেনা পরিশোধ করতে পারে কিন্তু বছরে দুই বার হালখাতা থাকায় কিছুটা বিপাকেই পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। সরেজমিনে যশোরের মনিরামপুর পৌর শহর সহ কুয়াদা বাজার,চিনাটোলা বাজার, রাজগঞ্জ বাজার, নেহালপুর বাজার সহ মনিরামপুর উপজেলার বড় বড় বাজার বা হাট গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সব দোকানেই চলছে হালখাতায় আয়োজন । সপ্তাহে দুই হাট বারে মনিরামপুর বজারে আয়োজন হচ্ছে হালখাতায়। গতকাল মঙ্গলবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে মুদি দোকান,ওষধের দোকান,খাবারের দোকান, স্বর্ণকারের দোকান প্রায় সব দোকানের ফুল দিয়ে স্বাজ সোজ্জা করা হয়েছে।
মনিরামপুর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শাহারিয়ার আল প্রিন্স বলেন, প্রতিনিয়তই সোনার দাম বাড়ছে আবার কমছে আগের মতো ব্যবসায়ের পরিবেশ নাই। মার্কেটে অনেক টাকা বাকি বেধে গেছে এ জন্য বছরে দুইবার হালখাতা দিয়েও বাকি টাকা ক্রেতারা পরিশোধ করতে পারছে না। বাকি বেধে যাওয়ায় আমাদেরও ব্যবসা চালানো কষ্ঠকর হয়ে যাচ্ছে।
মনিরামপুর বাজারের কসমেটিক্স ব্যবসায়ী শাহজাহান খান বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতে ব্যাবসা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না, আগে যে টাকা বাকি বেধে গেছে সে টাকাই এখনো অনেক ক্রেতা পরিশোধ করতে পারিনি তাগেদা দিলেও অনেকে বলছে আজ দিবো কাল দিবো। বছরে দুই বার হালখাতা দিয়েই অর্ধেক টাকা টাকাও পরিশোধ করছেন না অনেক ক্রেতা।
ওষধের দোকানদার আশরাফ ইয়াছিন জানান, আগের থেকে মানুষের আয়ের স্বক্ষমতা অনেকটা কমে গেছে কিন্তু রোগ ব্যাধী ও আয়ের দিকে তাকায় না ঔষধ এমন এক বস্তু ভাত না খেয়ে থাকলেও অনেকের ঔষধ খেতেই হবে। অনেক ক্রেতাই দোকানে আসে বাকিতে ঔষধ নেওয়ার জন্য কিন্তু সেই টাকা হালখাতা না দিলে আর পরিশোধ করে না এ জন্য ঔষধের দোকান হলেও হালখাতা দিতে হচ্ছে।
মনিরামপুর বাজার সমিতির সভাপতি তুলসী বসু বলেন, প্রতিবছরই দুই বার করে আমাদের বাজারে হালখাতায় আয়োজন করেন ব্যবসায়ীরা , তাদের ক্রেতাদের মিষ্ঠিমুখ করানোর জন্য, আগের যুগে শুরু বৈশাখ মাসে হালখাতার রিতি থাকলেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এখন জানুয়ারিতে একবার বৈশাখ মাসে একবার মোট দুইবার হালখাতা করেন ব্যবসারীরা।
এক সময় বাংলা নববর্ষের একসময় বাংলা নববর্ষের ম‚ল উৎসব ছিল হালখাতা। এটির মলাট লাল। হালখাতার ‘হাল’ শব্দটি সংস্কৃত ও ফারসি উভয় ভাষার সমন্বয় বলে মনে করা হয়। সংস্কৃত ভাষায় হাল শব্দের অর্থ ‘লাঙল’। অপরদিকে ফারসি ভাষায় হাল অর্থ ‘নতুন’। লাঙল বা হালের ব্যবহার শুরু হওয়ার পর কৃষকেরা উৎপাদিত দ্রব্য বিনিময়ের হিসাব যে খাতায় হিসাব লিখে রাখতো সেটাই হালখাতা হিসেবে পরিচিত ছিল। হালখাতা মানে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ। ‘ঐ ন‚তনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড়/ তোরা সব জয়ধ্বনি কর!

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION