স্টাফ রিপোর্টার,শ্যামনগর
সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে শ্যামনগরে উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২.৩০ মিনিটে প্রেসক্লাব হল রুমে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের সাপখালী গ্রামের মৃত আদেল সরদারের ছেলে মোঃ আব্দুল আজিজ। তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমার নাবালক পুত্র মোঃ কবির হোসেন জন্ম তারিখ ড়৮-ড়৮-২০০৮ ইং-নবম শ্রেনীর ছাত্র কৈখালী এস আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। বর্তমানে মাগুরা জেলা শালিখা থানার আড়পাড়া স্থানে অবস্থান করিয়া পড়াশুনা করিতেছে। বিগত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের নিজ বাস্ত ভিটা ছেয়ে ০৫ নং ওয়ার্ড যাদবপুর গ্রামে ২ বিঘা জমি ক্রয় করিয়া পরিবার পরিজনদের লইয়া শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করিয়া আসিতেছি। আলাপ পরিচয়ের মাধ্যমে গ্রামের নতুন মানুষের সাথে সু- সর্ম্পক গড়ে উঠে। সেই সুত্র ধরিয়া মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও তাহার মাতা দওক নেওয়া অল্প বয়সের নাবালিকা মেয়ে মোছাঃ বকুল পারভীন (১৩) পিতা মোঃ সিরাজুল গ্রাম যাদবপুর (যাদা) শ্যামনগর এর সাথে মোঃ কবির হোসেন পিতা মোঃ আব্দুল আজিজ গ্রাম-যাদবপুর এর সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। বিবাহের প্রস্তাবে রাজি না হইলে মেয়ের পক্ষ স্থানীয় সালিশ বিচারের স্বরনাপন্ন হয়। পরবর্তীতে গ্রাম্য সালিশ বিচার অমান্য করিলে ০৫ নং কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব একটি নোটিশ করে। আমি অসুস্থ থাকার কারনে ২ দিনের সময় এর আবেদন করিলে ২৮- ০৯-২৪ ইং তারিখে বিচার নিষ্পত্তি সুরাহ করিতে পারে নাই যাহা পরবর্তীতে চেয়ারম্যান সাহেব পুনরায় নোটিশ প্রদান করিয়া ০৫-১০-২৪ তারিখে শুনানীর দিন ধার্য্য করেন। সেই দিন বিচার স্থলে চেয়ারম্যান সাহেব তার কিছু লোকজনদের কে বলে অন্য রুমে যেয়ে কথা বলিয়া সমাধান নিষ্পত্তি করো। তাহারা যেয়ে ছেলের পিতার নিকট অহেতুক নগদ ৫০,০০০/= (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দাবি করে। দাবিকৃত ব্যক্তিরা হলেন ইউপি সদস্য মোঃ রাশিদুল ইসলাম,শেখ শাহানুর রহমান,বাবলু শেখ ও মেয়ের দাদী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। অতঃ পর মেয়ে পক্ষ আমাদের পরিবারদের বিভিন্ন ভাবে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ পূর্বক অপরাধ জনক ভয়-ভীতি হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ইহা ছাড়া মেয়ের পক্ষ আমার পুত্র সহ পরিবারের নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা সাজানো মুলক কেস কামে জড়িত করিবে বলিয়া প্রকাশ্য বলিতেছে।তাই আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে পরিত্রান পাইয়া সমাজে শান্তি পুর্ণ ভাবে বসবাস করিতে পারি এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাজানো মুলক কেস কামে জড়িত করিতে না পারে তাহার সু-ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এবিষয়ে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার পরিষদে এবিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে মেয়ের পক্ষ থেকে। উভয়কে নিয়ে সোনা বোঝা করি। দুইজনের বয়স পরিপূর্ণ না হওয়ায় তাদেরকে আপস মীমাংসা প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন থেকে কোন পক্ষে আমার সাথে আর যোগাযোগ করিনি। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি অসহায় পরিবারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গডে ওঠে এবং তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখায়।