শেরপুর, বগুড়া প্রতিনিধি:
এক কৃষক গরুর পায়ের ছাপ অনুসরণ করে এক কসাইয়ের বাড়িতে গভীর রাতে খুঁজে পেয়েছেন তাঁর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া একটি গরু। চুরি যাওয়া আরেকটি গরুর মাংস কসাইয়ের ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ওই বাড়ির সবাই পালিয়ে যান।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বড়াইদহ দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামের গোয়ালঘর থেকে গত শুক্রবার রাতে দুটি গরু চুরি হয়।
চুরির পরদিন গতকাল শনিবার সকালে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর পায়ের ছাপ অনুসরণ করতে নামেন কৃষক রফিকুলের পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে তাঁরা প্রায় চার কিলোমিটার পথ অনুসরণ করে আবু বক্কার মোল্লা (৫২) নামের এক মাংস বিক্রেতার বাড়ি খুঁজে পান। এ সময় কৃষকের বাড়ির লোকজনের ডাকাডাকি শুনে কসাইয়ের পরিবারের লোকজন বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যান। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া একটি বাছুর উদ্ধার করেন তাঁরা।
কসাই আবু বক্কার মোল্লার বাড়ি শেরপুর উপজেলার পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পারকোদলা গ্রামে।
খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে যায় শেরপুর ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ কসাইয়ের সহযোগিদের ঘর থেকে এক লাখ টাকা মূল্যের একটি গরুর জবাই করা মাথা, চারটি পা, চামড়াসহ ফ্রিজ থেকে মাংস জব্দ করে।
শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই কৃষক ধৈর্য ধরে গরুর পায়ের ছাপ অনুসরণ করেছেন। এ ঘটনায় কৃষক রফিকুল গতকাল রাতে মামলা করেছেন। আসামির তালিকায় রয়েছেন কসাই আবু বক্কার মোল্লার স্ত্রীসহ মোট আটজন। আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত কোনো আসামিদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।
কৃষক রফিকুল বলেন, যে রাতে তাঁর বাড়ি থেকে দুটি গরু চুরি হয়, সেই রাতে এলাকায় বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে গরু চুরির ঘটনা তাঁরা কেউ টের পাননি। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় গরুর পায়ের ছাপ পড়ে যায়। তাঁরা সেই ছাপ অনুসরণ করে চোরের সন্ধান পেয়েছেন।