1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman
শিরোনামঃ

কোটচাঁদপুরে জামায়াত নেতা হত্যায় ২১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা

  • প্রকাশের সময় সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৪ বার সংবাদটি পাঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হন জামায়াতে ইসলামীর নেতা এনামুল হক মাস্টার। এ ব্যাপারে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন(৫৬),ঝিনাইদহ ৩ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য, (১৫ নং ) নবী নেওয়াজ,(৬ নং) শফিকুল আজম খান চঞ্চল সহ ১৯ জনকে আসামি করে ঝিনাইদাহ আদালতে মামলা হয়েছে।(15ই সেপ্টেম্বর) রোববার দুপুরে কোটচাঁদপুর আমলি আদালতে মামলাটি করেন নিহতের ভাই তারিকুজ্জামান। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার জামায়াতে ইসলামীর নেতা এনামুল হক উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন (২ নং) সহকারী পুলিশ সুপার কোটচাঁদপুর সার্কেল জাহিদুল ইসলাম,(৩ নং) এস আই মিজানুর রহমান, (৪ নং)এসআই সৈয়দ আলী,(৫ নং)কনস্টেবল সামির কুমার,(৭ নং) উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান খান,(৮ নং) বলাবাড়ীয়া গ্রামের মতিয়ার রহমান (৯ নং) চাঁদপাড়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে কাউসার আলী, (১০ নং)বলুহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন,(১১ নং)বলুহর ইউনিয়ন এর বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম নজু (১২ নং)কুশনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান,(১৩ নং) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুননেসা মিকি,(১৪ নং) ছলেমান পুর গ্রামের মৃত ওসমান শেখের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল আরমান, (১৬ নং)কাগমারি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে শফিকুর রহমান, (১৭ নং)পৌরসভার সিনেমা হল পাড়ার মৃত নুরুল হুদার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী,(১৮ নং) সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তাজুল ইসলাম,(১৯ নং) পাঁশপাতিলা গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ইনামুল মেম্বার।বাদী মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান বলেন,আমার বড় ভাই মোহাম্মদ এনামুল হক মাস্টার কোট চাঁদপুর থানাধীন মুরুটিয়া বলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক ছিলেন। এবং তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলেন। বর্ণিত ছয় ও উনিশ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শ্রেণীর নেতা ও দলীয় ক্যাডার।২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠ থেকে বিতাড়িত করা সহ জনগণকে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১৩ নম্বর আসামিকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এজহারে বর্ণিত ৬,৭,১৩,১৫ ও ১৭ নম্বর আসামির নেতৃত্বে এবং 8,9,10,11,12 ,14,16 ও 19 নম্বর আসামি গনের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে আমার ভাই ইনামুল হক মাস্টারকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আমার ভাই মোহাম্মদ ইনামুল হক মাস্টারকে গত ২৫-১-২০১৪ ইংরেজি তারিখে কোটচাঁদপুর উপজেলার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মাওলানা তাজুল ইসলামের মনোনয়ন ফরম উপজেলা পরিষদে জমা দেওয়ার জন্য বেলা আনুমানিক দুইটার সময় উপজেলা গেটে পৌঁছালে এজারে বর্ণিত ৭-৮-৯,১১ ও ১৯ নম্বর আসামি গণ আমার ভাই এনামুল হক মাস্টার কে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের মনোনয়ন ফরম জমা দিতে সরাসরি নিষেধ করে এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে যে,যদি মনোনয়ন ফরম জমা দিস তাহলে তোকে এই উপজেলার গেটের সামনে প্রকাশ্যেই খুন করে ফেলব। আমার ভাই ইনামুল হক মাস্টার আসামিদের বাধা উপেক্ষা করিয়া উপজেলা পরিষদের মধ্যে ঢুকে যায় এবং মনোনয়ন ফরম জমা দিয়া বিকাল আনুমান ৩ঃ৩০ মিনিটে সময় উপজেলা গেটের সামনে আসা মাত্রই ৭,৮,৯,১১ও১৯ নম্বর আসামিগণের উপস্থিতিতে এবং তাদের প্রকাশ্য মদদে ইনামুল হক মাস্টারকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২ নম্বর হইতে ৫ নম্বর আসামিগণ কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পিকআপ লইয়া জোরপূর্বক আমার ভাইয়ের চোখ বাঁধিয়া চার ও ছয় নম্বর সাক্ষীর সম্মুখে জোর করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরণ করে কোট চাঁদপুর থানায় নিয়ে যায়। অতঃপর দিনগত রাত আনুমানিক তিনটার সময় আমার ভাই ইনামুল হক মাস্টারকে কোট চাঁদপুর থানাধীন নওদা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পিছনে নূর বক্সের জমিতে আনিয়া এক নম্বর ও দুই নম্বর আসামির নির্দেশে ৩ ও ৫ নম্বর আসামি আমার ভাই এনামুল হক মাস্টারকে গলাই ও বুকের বাম পাশে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে চলে যায় তারপর ২৬/ ১/ ২০১৪ ইংরেজি তারিখে ভোর আনুমানিক চারটা ৩০ ঘটিকা সময় নওদা গ্রামের সাক্ষী আবুল খায়ের পিতা গোলাম মোস্তফা ও বরকতউল্লাহ পিতা নবিরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আমাকে বলে যে তোমার ভাই এনামুল হক মাস্টারের লাশ নওদা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পিছনে গুলিবিদ্ধ মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে যাইয়া আমার ভাইয়ের লাশ না পেয়ে কোটচাঁদপুর থানায় গিয়ে আমার ভাই এনামুল হক মাস্টারের লাশ শনাক্ত করি উক্ত দিনেই কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ তড়িঘড়ি করে বেলা অনুমান ১১ টার সময় ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। লাশ ময়না তদন্তের পর আমরা নিজে গ্রহণ করে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি। কিন্তু পুলিশ সে সময় বলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে এনামুল হক মাস্টার নিহত হয়েছে। আদালত বাদীর অভিযোগটি কোটচাঁদপুর পুর থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে নির্দেশ দিয়েছে। বাদীর পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট রুস্তম আলী।মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে কথা হয় কোট চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আল মামুন এর সাথে। তিনি জানান, আদালতের আদেশ এখনো থানাতে আসেনি। হাতে পেলে নির্দেশনা মোতাবেক মামলা রেকর্ড এবং নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাবলু মিয়া/সাকিব

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION