মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
মনিরামপুর পৌর শহরে দেশের জনপ্রিয় ব্রান্ড টপটেনের নামে নিন্মমানের পোশাক সামগ্রি বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে টপটেনের বাহারী প্যাকেটের ভেতর নিন্মমানের পোশাক ভরে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে। ফলে ভ‚ক্তভোগীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। গতকাল ১৬ জুন রোববার বিকেল ছয়টার দিকে পৌরশহরের হামিদা শপিং কমপ্লেক্সের(কৃষি ব্যাংকের নিচে) এক্সপোর্ট ফ্যাশানে গিয়ে প্রতারনার এ অভিযোগ হাতে নাতে প্রামানিত হয়। নেহালপুর এলাকার নূর ইসলাম নামে এক ক্রেতা এক্সপোর্ট ফ্যাশান থেকে দুই হাজার নয়’শ টাকা মূল্যে টপটেন ব্রান্ডের দুইটি পাঞ্জাবী ক্রয় করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে টপটেন ব্রান্ডের প্যাকেটে অতি নিন্মমমানের পাঞ্জাবী ভরে তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। নূর ইসলামের অভিযোগ এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে দোকানের মালিক পলাশ কবির সাইদ তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনসহ লাঞ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত এক সাংবাদিক এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তার সাথেও পলাশ কবির অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। সাংবাদিক শাহাজান শাকিল জানান, টপটেন ব্রান্ডের প্যাকেটে নিন্মমানের পোশাক ভরে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। চিনাটোলা এলাকার অপর ক্রেতা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার সাথেও অনুরূপভাবে প্রতারনা করা হয়েছে। কুয়াদা এলাকার আবুল হোসেন জানান, তার ছেলের জন্য দেড় হাজার টাকা মূল্যের টপটেন ব্রান্ডের একটি পাঞ্জাবী কিনেছেন। কিন্তু তার মানও অতি নিন্মমানের । আর এ অভিযোগ শুধু নুর ইসলাম, শাহাজান শাকিল অথবা আবুল হোসেনের নয়। এ প্রতারনার অভিযোগ অধিকাংশ ক্রেতাদের। ভুক্তভোগীদের দাবি প্রতারক পলাশ কবির সাইদি কে দ্রুত জেল জরিমানা করা হোক। তবে দোকান মালিক পলাশ কবির সাইদ জানান, তারা মার্কেট থেকে টপটেনের প্যাকেটজাত পোশাক কিনে বিক্রি করেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে যশোর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে একাধীকবার ফোন করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।