1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

ওয়াক্তের নামাজে ৫, জুমার নামাজে ১০ জনের বেশি নয়: ধর্ম মন্ত্রণালয়

  • প্রকাশের সময় সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০
  • ১২৯ বার সংবাদটি পাঠিত

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বিস্তার রােধে সর্বসাধারণকে ইবাদত-উপাসনা নিজ নিজ ঘরে পালনের নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, ওয়াক্তের নামাজে ৫ জন ও জুমার নামাজে ১০ জনের বেশি মসজিদে থাকতে পারবেন না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জনসমাগমের মাধ্যমে এ রােগের বিস্তার ঘটছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশগুলােতেও এ ধরনের বিস্তার ও প্রাণহানির ঘটনার উদাহরণ বিদ্যমান। ইতোমধ্যে মুসলিম স্কলারদের অভিমতের ভিত্তিতে পবিত্র মক্কা মুকাররমা ও মদিনা মুনাওয়ারাসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের মসজিদে মুসল্লিদের আগমন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এ রােগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগােডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার জোর পরামর্শ দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সকলের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নিমােক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

১. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রােধকল্পে মসজিদের ক্ষেত্রে খতীব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীত অন্য সকল মুসুল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামায আদায় এবং জুমআর জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে যােহরের নামায আদায়ের নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।

২. মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাযে অনধিক ৫ জন এবং জুমার জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের মুসল্লি মসজিদের ভিতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৩. একইসাথে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকেও উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।

৪. এ সময়ে সারাদেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলিগি তালিম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দুআর মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।

৫. অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণও এ সময়ে কোন ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না। সকল ধর্মের মূলনীতির আলােকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হলাে। উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানাে হলো। কোন প্রতিষ্ঠানে উক্ত সরকারি নির্দেশ লংঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

০৬. যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ নির্দেশ জারি করা হলাে।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION