সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, একটি জাতি গঠন ও অগ্রগতি কেমন হবে-এর পেছনে বুদ্ধিজীবীরা প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। বাঙালি জাতি যেন পুরোপুরি মেধাশূন্য হয়ে যায়, এ জন্য আলবদর ও আলশামসের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী বিজয়ের ঠিক আগে এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।
আজ সোমবার বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া-মোনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। যবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় সূর্যোদয়ক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে। দিবসটি উপলক্ষে যবিপ্রবি পরিবারের সদস্যরা কালোব্যাজও ধারণ করেন। অতিমারী কোভিড-১৯ এর কারণে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যবিপ্রবিতে এবারের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা থেকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেন এবং প্রয়োজনীয় রসদও সরবরাহ করেন। অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এবং জাতির প্রতি অনুগত এ সকল বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা-মননের কারণে জাতির জন্য ছিলেন অপরিহার্য। তাই বাঙালি জাতি কখনোই যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে এ জন্য তাদের হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে দুজনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের জানা মতে, তারা এখন ইংল্যান্ডে আছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অতিদ্রুত তাদের দেশে এনে ফাঁসিতে ঝুলানো হোক। তাহলে বাঙালি জাতি হিসেবে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আমাদের যে ঋণ আছে, তা কিছুটা হলেও শোধ হবে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মজিদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ মীর মোশাররফ হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রউফ প্রমুখ। এ সময় যবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, দপ্তর প্রধানগণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ আকরামুল ইসলাম।