‘সোনালী আঁশের সোনার দেশ, মুজিববর্ষে বাংলাদেশ’ এই স্লোগান নিয়ে সারাদেশের ন্যায় শুক্রবার খুলনায় জাতীয় পাট দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকালে সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। খুলনা জেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভাপতি জেলাপ্রশাসক বলেন, সরকার পাটকলসমূহের আধুনিকায়ন ও বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পাটখাতের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পলিথিন বর্জন করে সকল ক্ষেত্রে পাটপণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০’ অনুসারে ধান, চাল, গম, সার, চিনি, ভূট্টা, মরিচ, হলুদ পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আটা, ময়দাসহ মোট ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। তিনি বলেন, পাট উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। পাটের সাথে যারা জড়িত যার যার অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে পাটের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেএ’র চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, ক্রিসেন্ট জুট মিলস লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক খান মোঃ কামরুল ইসলাম, জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান, পোল্ট্রি ও ফিসফিড শিল্প সমিতির সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেন, চাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, খুলনা পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক রাধেশ্যাম নাথ প্রমুখ। স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠানে বিজেএমসির বিভিন্ন পাটকল, বিজেএ, বিভিন্ন বেসরকারি জুট মিলস, পাটপণ্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, চাল কল মালিক সমিতি, চাল ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে দিবসটি পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি হাদীস পার্ক থেকে শুরু হয়ে খুলনা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।