স্টাফ রিপোর্টার: রাজগঞ্জের নোয়ালী গ্রামের কিশোর সজিব স্মার্ট ফোন কেনার জন্য চাচাতো দাদীকে মাঠে ডেকে নিয়ে সোনার গহনা ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনার ৮ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সেই দাদীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বৃদ্ধার মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের জম্ম নিয়েছে। জানা যায়, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নোয়ালী গ্রামের মফিজুর রহমান শেখের ছেলে সজিব হোসেন (১৫) গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার চাচাতো দাদী নুর মোহম্মাদ শেখের স্ত্রী ছকিনা খাতুন (৬৫) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পশ্চিম মাঠের বাঁশবাগানে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে নিয়ে যায়। এবং দাদীর গলাই থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও হাতের বালা জোর পূর্বক খুলে নেওয়ার সময় দাদী বাঁধা দিলে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। দাদীর মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে বাগানের ভীতরে গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন এসে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। রুগীর অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। রুগীর স্বজনরা তাৎক্ষনিক ঢাকায় নিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ৮ দিন চিকিৎসার পর ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মারা যান দাদী। সন্ধ্যা নাগাত লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌছাবেন বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে নোয়ালী গ্রামের শেখ পাড়া থেকে শুরু করে পশ্চিম মাঠের রাস্তার পাশ দিয়ে ও কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে বিকেল থেকে শূরু করে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবন ও পাবজি গেম খেলার আড্ডা চলে। এর কারনে নষ্ট হচ্ছে এলাকার যুবক ও কিশোর সমাজ। স্থানীয় অনেকেই জানাই কিশোর সজিব একজন মাদকসেবী ও পাবজি গেম খেলায় আশক্ত। যার কারনে সে নেশা আসক্ত হয়ে দাদীকে হত্যার মত জঘন্য অপরাধ করতে পিছপা হয়নি। দেখা গেছে ঘটনাটি একই পরিবারের মধ্য তাই একজন কিশোর হয়ে হত্যার চেষ্টার মত জঘন্য অপরাধ করলেও বিষয়টি ধামা চাপা দিয়ে রেখেছে। এদিকে সোনার গহনা ছিনতাইকারী ও হত্যাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন এলকার সচেতন মহল।