ডেস্ক রিপোর্টঃ সারাদেশে দলে অনুপ্রবেশকারী, বিতর্কিত ও দুর্নীতি অনিয়মকারী এমন আট হাজার নামের তালিকা করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে পাঁচ হাজারই অনুপ্রবেশকারী। আর এ তালিকা ধরেই চলতি মাস থেকেই ফের জোরালো হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান। আওয়ামী লীগের এক নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, অনিয়ম, দুর্নীতি সঙ্গে জড়িত, বিতর্কিত এই পাঁচ হাজার অনুপ্রবেশকারী নেতাদের মধ্যে অনেকেই এমপি বা নেতাদের আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত।
তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, অনুপ্রবেশকারী দুর্নীতি সঙ্গে জড়িত এরা যতোই প্রভাবশালী ও এদের স্বজন হোক না কেনো এবার কেউ ছাড় পাবেন না। কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সরকার বা দল নেবে না। তাই বিতর্কিত অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি এবার আরো জোরদার করা হচ্ছে। চলতি মাসেই জোরালোভাবে শুদ্ধি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
ডেইলি বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, এ বিষয় দলের সভাপতি জানেন। এটা আওয়ামী লীগের একটি বড় ইস্যু। তবে দলে কোনো অন্যায়-দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না।
এদিকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে গত বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সম্পাদকদের কঠোর নির্দেশনাও দেয়া হয়।
বিভাগীয় উপকমিটিগুলোতে আর বিতর্কিত বা অনুপ্রবেশকারীদের দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতে কোনো কারণে কোনো উপ-কমিটিতে সাহেদদের মতো কাউকে জায়গা দেয়া হলে এর দায়দায়িত্ব উপ-কমিটির মূল কর্মকর্তাদের নিতে হবে সভায় জানানো হয়।