বিশেষ প্রতিনিধি: বিবাহিতদের ছাত্রদলের নেতৃত্বে আনতে সক্রিয় স্থানীয় বিএনপির একাংশ। তবে ছাত্রদলের কমিটিতে বিবাহিতদের না রাখতে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
হামলা-মামলার শিকার হলে বিবাহিত ও অছাত্ররাও থাকতে পারবে ছাত্রদলের কমিটিতে- এমনটি বলছে ছাত্রদল। আর বিবাহিতদের ছাত্রদলের নেতৃত্বে আনতে পরস্পর বিরোধে জড়াচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারাও। তবে বিবাহিতদের কমিটিতে না রাখতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও বিএনপিকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে ঠাঁই পেতে আন্দোলনে যান বিবাহিত পদপ্রত্যাশীরা। এমনকি এই দাবি আদায়ে মহানগর বিএনপি নেতাদের অবরুদ্ধও করেন তারা। পরে বিবাহিতদের কমিটিতে রাখার আশ্বাস দিয়ে মুক্ত হন বিএনপির নেতারা।
দীর্ঘ ৮ বছর পর যশোরের মণিরামপুর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি গঠন নিয়ে বিবাহ ইস্যুতে বিবাদে জড়িয়েছেন স্থানীয় বিএনপির দুই নেতা। বিবাহ ইস্যুতে দুই নেতার পরস্পর বিরোধী অবস্থানের কারণে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া এখন হিমাগারে।
তবে দলের জন্য হামলা-মামলার শিকার হওয়ার রেকর্ড থাকলে বিবাহ ইস্যুকে পাত্তা দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, রাজীব-আকরামের সময় যেসব জেলা কমিটি হয়েছিল এরমধ্যে অনেকগুলাই পুর্ণাঙ্গ করা হয়নাই। সেসব কমিটিতে আমরা বিবাহিতদের অগ্রাধিকার দিয়ে পুর্ণাঙ্গ করার চেষ্টা করছি। ত্যাগি, পরিশ্রমী যারা বিয়ে করেছেন তারা যাতে পদ পায়,সেই লক্ষ্যেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিবাহিতদেরকেও কমিটিতে রাখা হবে- অঘোষিত এমন সিদ্ধান্ত জানতে পেরে ক্ষুব্ধ বিভন্ন জেলা কমিটির নেতারা। কেন্দ্রে চিঠি দিয়ে বিবাহিতদের কমিটিতে না রাখার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী এক নেতা বলেন, আমরা আমাদের কেন্দ্রিয় নেতাদের জানিয়েছি যে সামনে যেই কমিটি দেয়া হোক না কেন সেখানে যাতে বিবাহিতদের না রাখা হয়।
তবে তৃণমূলের দাবিকে মানতে রাজি নন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি। ছাত্রত্ব না থাকলেও থানা ও জেলায় ত্যাগীদের দায়িত্ব দিতে চান তিনি।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, থানা পর্যায়ের আহ্বায়ক কমিটিগুলোতে আমরা কিছু ছাড় দিয়েছি। যেহেতু দীর্ঘদিন কমিটি হয়নাই। তবে কলেজ কমিটির ক্ষেত্রে অবশ্যই ছাত্রত্ব থাকতে হবে। কিছু কমিটি নিয়ে জটিলতা আছে, আমরা আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলো আমরা কাটিয়ে তুলতে পারবো।
গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর বিভিন্ন মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি দেয়ার পাশাপাশি অপূর্ণাঙ্গ ও আংশিক কমিটি পূর্নাঙ্গ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।