খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই ২০২৫) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে কেএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।তিনি বলেন, গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মতো বড় ধরনের সামাজিক অস্থিরতার পর খুলনা মহানগরীর পুলিশিং ব্যবস্থা এক প্রকার ভেঙে পড়েছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।পুলিশ কমিশনার জানান, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযানে বড় বড় চালান উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাসহ চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন এবং মোবাইল টহল জোরদার করা হয়েছে। সকল থানা এলাকায় পুলিশ-জনগণ পার্টনারশিপ সভা শুরু হয়েছে। কিশোর গ্যাং দমনে সন্ধ্যার পর আড্ডাস্থলগুলোতে পুলিশের সচেতনতামূলক অভিযান চালানো হচ্ছে।খুলনাকে একটি নিরাপদ, সচেতন ও আধুনিক নাগরিকবান্ধব শহরে রূপান্তরের লক্ষ্যে কেএমপি বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ডিজিটাল নজরদারি ক্যামেরা বাড়ানো, অপরাধ বিশ্লেষণভিত্তিক টাস্কফোর্স, নারীর জন্য নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে “নিরাপদ রাত্রি” টিম, শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য থানাভিত্তিক ছাত্র কাউন্সেলিং সেল গঠন।আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের আস্থা ও সহযোগিতা ছাড়া কোনো পুলিশি কার্যক্রম টেকসই হয় না। তাই আমরা চাই, প্রতিটি নাগরিক আমাদের অংশীদার হোক। খুলনাকে একটি বাসযোগ্য, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ শহরে পরিণত করতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলেন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।সংবাদ সম্মেলনে কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খানসহ কেএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন খুলনার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরাও।