কণ্ঠ ডেস্ক
গত ২৮শে এপ্রিল সকালে, যশোরের মণিরামপুর থানাধীন খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে একটি হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত হয়েছেন স্বরুপজান (৩৫)নামে এক গৃহবধূ । তার মৃতদেহ চাতাল ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
খবর পাওয়ার পর, মনিরামপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশ বাহিনী তাদের দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পেরে দ্রুত তদন্ত শুরু করে।
ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য। পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সমন্বয়ে গঠিত টিম রাতভর অভিযান চালায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত ভিকটিমের স্বামী আব্দুর রশিদ @ মিন্টু এবং তার সৎ ছেলে জিসান (২২) কে অভয়নগর থানাধীন শংকরপাশা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামিদের বসতবাড়ী থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত কুড়াল ও শীলের নড়া উদ্ধার করা হয়।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার দ্রুত সমাধানে পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। তাদের সাহসী পদক্ষেপ এবং দক্ষতা সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। পুলিশের এই কার্যক্রমের ফলে হত্যার মূল রহস্য বের করা সম্ভব হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
এই ঘটনার মাধ্যমে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রশংসা হচ্ছে। পুলিশ বাহিনী সত্যিই মানবতার সেবায় নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।