ঝিনাইদহ অফিস
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে বিএনপি কর্মী মোশারফ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার জেরে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে। ৫/৬টি বাড়িঘর ভাংচুর করে ঘরের জিনিসপত্র ও সোনাদানাসহ কোটি টাকা মুল্যের ৩৭টি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। অন্যদিকে নিহতের স্ত্রী ময়না খাতুন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামী করে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই হত্যা মামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মইনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে মোশাররফ হোসেন হত্যার পর আসামীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও গোয়াল ঘর থেকে গরু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষ সাইদ মোল্লা জানান,দোকান,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে ভাংচুর চালিয়ে দেলোয়ার হোসেন দলু ও হানেফ গ্রুপের সমর্থকেরা আমার ৫টি,মইনের ২টি, আমিরুলের ৪টি, আব্দুল জব্বারের ৫টি ও আব্দুল আলীমের ৩টিসহ মোট ৩৭টি গরু নিয়ে গেছে। ৩৭টি গরুর মুল্যে কোটি টাকা হবে। আর এসব বাড়ি থেকে দুই লাখ ও সারের দোকান থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেছে। হত্যা মামলায় আসামী হয়ে বেশির ভাগ পুরুষ গ্রামছাড়া। সেকারণে বর্তমান গ্রামটি পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় চাঁদপুর ইউনিয়নের মেম্বর আশরাফ উদ্দীন স্বপন জানান, হাকিমপুর গ্রাম থেকে একাধিক ব্যক্তির গরু লুটে তথ্য ও ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। অপরদিকে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও গরু লুটের ঘটনা মিথ্যা দাবী করে সাবেক মেম্বর মনজের আলী পাতা জানান, হাকিমপুর গ্রামে মোশারফ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার পর ঝন্টু,গিয়াস,গদা ও লিটনসহ আরো অনেকে তাদের পক্ষ মজবুত করার জন্য কৌশল খাটিয়ে আসামীদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে এবং আসবাবপত্রসহ বাড়ির মামামাল ও গরুগুলো অন্য জায়গায় সরিয়ে রেখেছেন। এব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান জানান, মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে সংঘর্ষে মোশারফ হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হন। এরপর নিহতের স্ত্রী ময়না খাতুন বাদী হয়ে একই দিন বিকালে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামী করা হয়েছে। ওসি আরো জানান, গরু লুট বা বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুরের কোন তথ্য আমার কাছে নেই। এমন কোন ঘটনা ঘটলে তো থানায় অভিযোগ আসতো বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্যঃ ধর্মসভায় অতিথি করা নিয়ে সোমবার রাতে স্থানীয় বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দলু ও সাঈদ মোল্লা গ্রæপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেসময় মোশারফ হোসেন (৩৭) নামে এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এতে আহত হয় আরো ৮জন।