নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার সাদীপুর গ্রামে পারিবারিক জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মৃত রবিউল হোসেন ও মৃতা মনোয়ারা বেগমের দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে জমি ভাগ-বাটোয়ারা না করে এককভাবে ভোগ দখল করে আসছেন ছোট ছেলে মো. ইকরামুল হোসেন (ইকরামুল মাস্টার)—এমন অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাই মো. রিয়াজুল হোসেন বাবু ও বোনেরা।
বড় ভাই রিয়াজুল হোসেন বাবু সম্প্রতি বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে জানান, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার জন্য বহুবার ছোট ভাইকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। বরং জমি বুঝে নিতে গেলে গালাগালি, হুমকি-ধামকি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, মৃত রবিউল হোসেনের নামে পৈতৃক সম্পত্তি তাদের ৭ সন্তান (২ ছেলে ও ৫ মেয়ে) ভাগে পাওয়ার কথা থাকলেও ছোট ভাই মো. ইকরামুল হোসেন নিজে একাই জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন এবং সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া তুলে নিচ্ছেন। এমনকি পিতার হাতে লাগানো গাছপালাও বিক্রি করে আত্মসাৎ করছেন বলে দাবি করা হয়।
ভুক্তভোগী ভাই ও বোনেরা এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), যশোর বরাবরও লিখিত আবেদন করেছেন যাতে করে অবিলম্বে জমির সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা হয়। ভূমি অফিসে দেওয়া আবেদনে তারা জানিয়েছেন—ইকরামুল হোসেন পৈতৃক সম্পত্তির ওয়ারেশদের মধ্যে ভাগ না দিয়ে এককভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছেন। তাদের অনুরোধ, প্রশাসনের সহায়তায় জমি সমানভাবে বণ্টন করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
এই ঘটনায় সাদীপুরসহ এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন—সমাধান না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।