মণিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি
মণিরামপুরে যাতায়াতের রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে জাকির হোসেন নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এর ফলে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে পরিবারটি। পৌরশহরের তাহেরপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য ভুক্তভোগী পরিবার মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, মণিরামপুর পৌরশহরের তাহেরপুর মৌজায় থাকা কালামের কাছ থেকে প্রায় ৫/৬বছর আগে বসতবাড়ির জন্য ৩শতক জমি ক্রয় করেন মফিদুল ইসলাম মফিজ ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন। এরপর ক্রয়কৃত জমিতে দুইতলা পাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন তিনি। একই জমির মালিক কালামের কাছ থেকে আলাদা দাগে ১শতক জমি ক্রয় করেন জাকির হোসেন। সেখানে থাকা একটি সরু পথ দিয়ে এই দুই পরিবারের সদস্যরা যাতায়াত করেন। কিন্তু স্থানীয় একটি মহলকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে সম্প্রতি যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি জোরপূর্বক দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেন প্রভাবশালী জাকির হোসেন। যাতায়াতের রাস্তাটিতে প্রাচীর নির্মাণ করায় মফিদুল ইসলাম মফিজসহ তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য ভুক্তভোগী পরিবার মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তবে দুই পক্ষই দাবি করেছে জমিটি তাদের। ভুক্তভোগী মফিদুল ইসলাম মফিজ বলেন, যাতায়াতের রাস্তাসহ কালামের কাছ থেকে ৩শতক জমি প্রায় ৬ লক্ষ টাকায় ক্রয় করি। কিন্তু জাকির কিছু লোকের সহায়তায় আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণ করে আটকিয়ে দিয়েছে। এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। পাশাপাশি দখল হওয়া রাস্তার প্রাচীর ভেঙে দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তবে অভিযোগ রয়েছে, গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাপালাবদল হলে প্রভাবশালী জাকির হোসেন জোরপূর্বক মফিদুল ইসলাম মফিজের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি প্রাচীর নির্মাণ করে বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে জাকির হোসেন বলেন, আমি কারও জায়গা জোর করে দখল নেইনি বা প্রাচীর নির্মাণ করিনি। আমার জমিতেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি।