জাহিদ হাসান
বেনপোল কাস্টমস হাউসে কর্মরত উচ্চমান সহকারী লিংকন হাসানের পরকীয়া প্রেমের বলী হলেন মাহবুবা খাতুন রিমা (১৯) নামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। স্বামী কৃর্তৃক অন্যায় ভাবে তালাক প্রাপ্ত হয়ে ন্যায় বিচার পেতে আদালতের দারস্থ হয়েছেন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী রিমা। মোকাম কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইবি আমলী আদালতে বিগত ১৩জুন ২০২৪ ইং তারিখে একই জেলার কুমারখালী থানাধীন দুধকুমড়া গ্রামের তেজারত আলীর ছেলে স্বামী লিংকন হাসানকে আসামী করে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মোকাদ্দামা দায়ের করেন যা এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। যার মামলা নাম্বার সিআর ৭৬/২০২৪। সে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাধীন শিবপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে। ভূক্তভোগী রিমা খাতুন জানান, বিগত ২৪/৫/২০২৪ ইং তারিখে পারিবারিক সন্মতিতে ৩ লাখ টাকা কাবিনে ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক তাদের বিবাহ হয়। রিমা শশুরালয়ে যাওয়ার পর লিংকন হাসানের পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানতে পেরে সে প্রতিবাদ জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিংকন হাসান রিমাকে পিত্রালয়ে রেখে এসে তালাক নোটিশ পাঠায়। তালাক নোটিশ গ্রহণ না করে বিষয়টি নিয়ে রিমার পরিবার প্রতিবাদ জানালে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য উভয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে শালিস বৈঠকে বসেন ও পুনরায় ঘরসংসার করার সিন্ধান্ত হয়। লম্পট লিংকন হাসান চাকুরির সুবাধে যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অবস্থান করায় রিমা ও তার পরিবারের সহিত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে তড়ি ঘড়ি করে পরকীয়া প্রেমিকাকে দ্বিতীয়বার বিবাহ করে। এছাড়াও আসন্ন এইস এসসি পরীক্ষার্থী রিমাকে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করতে নানা রকম অপবাদসহ কুৎসা রটনা করে লিংকন হাসান। ধুরুন্ধর কাস্টমস কর্মকর্তা তার অবৈধ্য কালো টাকার প্রভাবে আইনের বেড়াজাল ছিড়ে বের হয়ে রিমার পরিবারের উপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নানা রকম চাপ সৃষ্টিসহ ভয়-ভিতী দেখাতে থাকে। অসহায় কলেজ ছাত্রী রিমার পাশে এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিরা দাড়ালে নারী লোভি ঘুষখোর কর্মমকর্তা লিংকনের পরিবার থেকে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য একের পর এক শালিস বিচারের দিন নিতে থাকে। সম্প্রতি সময়ে লিংকনের পরিবার স্থানীয় ভাবে মিমাংসায় আপত্তি জানালে অনেকটা নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচার পেতে ভূক্তভোগী রিমা গণমাধ্যমকর্মীদের শরনাপন্ন হন। অভিযুক্ত লিংকন হাসানের মুঠোফোনে অভিযোগ ও মামলার বিষয় জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে সংযোগ কেটে দেন। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের বিতর্কিত কর্মকর্তা লিংকন হাসানের ব্যাপারে বেনাপোল এলাকায় ব্যাপক খোঁজ খবর নিলে জানা যায় চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনকালে ল্যাগেস ব্যবসায়ীদের ভারতীয় মালামাল আনার সময় শুল্ক ফাঁকিতে সহায়তা দিয়ে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে রাতা রাতি অঢেল সম্পত্তিসহ বড় অঙ্কের কালো টাকার মালিক বনে গেছেন। বিতর্কিত এ কর্মকর্তা লিংকন হাসানের অনিয়ম-দূর্নীতির ডিএম বাণিজ্য নিয়ে গত ৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক প্রতিদিনের কন্ঠসহ একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ভূক্তভোগী রিমা ন্যায় বিচার পেতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উর্দ্ধতণ কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।