কণ্ঠ ডেস্ক
ভবদহে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ভাসমান টয়লেট। যশোরের মনিরামপুরের জলাবদ্ধ ভবদহ এলাকায় এ ধরনের টয়লেট স্থাপন ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ ঘুচবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।বুধবার (১৩ নভেম্বর) খোঁজ নিয়ে জানা যায় মণিরামপুরের ইউএনওর পরিকল্পনায় উপজেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কারিগরি সহযোগিতায় এ প্রকল্প চালু হচ্ছে।জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যশোর ও খুলনা জেলার মনিরামপুর, অভয়নগর, কেশবপুর, ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলার প্রায় তিনশ গ্রামের প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি। এতে বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে ওই এলাকার মানুষ। বিশুদ্ধ খাবার পানির পাশাপাশি স্যানিটেশনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। বাধ্য হয়ে অনেকেই রাস্তায় টোং ঘর বানিয়ে রাতযাপন করছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক কাজ সারতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তায় ছাড়া গ্রামের মধ্যে স্যানিটেশন স্থাপন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জয়দেব দত্ত জানান, ভাসমান টয়লেট তৈরি করতে ৫টি প্লাস্টিকের ড্রাম, কাঠ ও লোহার ফ্রেম এবং টিন ব্যবহৃত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতি ভাসমান টয়লেট তৈরিতে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। ভাসমান টয়লেটের প্রধান সুবিধা এটি পানির ওপর সহজেই ভাসতে পারবে। এই টয়লেটে একটি ড্রাম এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে ময়লা পানিতে পড়ে পরিবেশ দূষিত করবে না। ড্রাম ময়লায় ভর্তি সহজেই খুলে ফের স্থাপন করা যাবে।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না জানান, জলাবদ্ধতার কারণে স্যানিটেশনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ভবদহ এলাকার মানুষকে। বিশেষ করে মহিলারা এ ভোগান্তির বেশি সম্মুখীন হন। মনিরামপুরের ঝাঁপা বাঁওড়ের ভাসমান সেতুর আদলে ভাসমান টয়লেট তৈরি করা হয়েছে।