#মনিরামপুরের তাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
#জটিলতা কাটছে না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে
তাজাম্মূল হুসাইন
যশোরের মনিরামপুরের তাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে চলছে টানা হেঁচড়া। বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আর্থিক সংকটে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারী। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে দ্ব›দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় এ জটিলতার উৎপত্তি হয়েছে। এদিকে অভিভাবকসহ সচেতন মহল চায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন নিয়ে জটিলতার দ্রæত নিরসন হোক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার তাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক, নিরাপত্তা কর্মী ও অফিস সহায়ক শূণ্য পদে গত ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ সালের নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের অবমাননা, নিয়োগ বানিজ্য, জালজালিয়াতী ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের রেজুলেশনের মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং আদালতে মামলা করেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শাহজান কবীর। যা এখনো মামলা চলমান অবস্থায় রয়েছে। এরপর গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) জালাল আহম্মেদকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব অর্পন করলে তিনি দায়িত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান এবং লিখিত পত্র দেন। কেউ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে না থাকায় ৬মাস বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্ন বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে গত ২৩ জুন ২০২৪ তারিখে যোগদানের নির্দেশ প্রদান করেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের ৪ মাসের বেতন ভাতা উত্তোলন করে গত ৩০ শে সেপ্টেম্বার ২০২৪ সালে অবসরে যান প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। এরপর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেনকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। এনিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেতনের জটিলতা রয়েছে। এখানে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে আমাকে দেওয়া হোক, এটাও আমার মূল দাবী না। আমাদের সমাধান কল্পে বিধি অনুযায়ী যাকে দিলে সমাধান হবে, তাকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিতে উর্দ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি। মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, ইউএনও স্যারের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কার পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছি বলতে পারবো না। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।